‘দায়িত্বজ্ঞানহীন চ্যানেলগুলি মিথ্যা ছড়াচ্ছে!’ ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থার গুজব নিয়ে ক্ষুব্ধ হেমা মালিনী ও এষা দেওল

প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন দিন পর, ১২ নভেম্বর সকালে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অভিনেতাকে ভোরে ছাড়ার পর, হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য মুম্বাইয়ের বাসভবনে গিয়েছিলেন।

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন ধর্মেন্দ্র

ধর্মেন্দ্রকে বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, সকাল ৬:৩০ মিনিটে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর ছেলে সানি দেওল এবং ববি দেওল এই সময় বাবার পাশেই ছিলেন। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বাড়িতেই অভিনেতার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের ডাক্তার প্রীত সামদানি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ধর্মেন্দ্রজিকে সকাল ৭:৩০ টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ পরিবার তাঁকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ

সানি দেওলের (Sunny Deol) দল একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে ধর্মেন্দ্রর স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি বাড়িতেই তাঁর আরোগ্যলাভ অব্যাহত রাখবেন। আমরা মিডিয়া এবং জনসাধারণকে অনুরোধ করছি যে তারা আর কোনও জল্পনা-কল্পনা থেকে বিরত থাকুন এবং এই সময়ে তাঁর এবং পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।” বিবৃতিতে অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়েছে।

এর আগে সকালে ধর্মেন্দ্রর চাচাতো ভাই এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা গুড্ডু ধানোয়া তাঁকে দেখতে যান এবং পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। অভিনেতার জুহুর বাসভবনের বাইরে তিনি বলেন, “তিনি ভালো আছেন। এর বাইরে আমি বেশি কিছু বলতে পারছি না।”

ভুয়ো খবর নিয়ে ক্ষুব্ধ হেমা মালিনী ও এষা দেওল

গত তিন দিন আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে, এমনকি তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবরও ছড়ায়।

এই ভুয়ো খবর নিয়ে তাঁর মেয়ে এষা দেওল এবং স্ত্রী হেমা মালিনী (Hema Malini) তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এষা দেওল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “মিডিয়া অতিমাত্রায় উস্কানি দিচ্ছে এবং মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা সুস্থ। আমরা সকলকে আমাদের পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি।” অন্যদিকে, হেমা মালিনী এই মিথ্যা প্রতিবেদনের নিন্দা করে লেখেন, “যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য! দায়িত্বশীল চ্যানেলগুলি কীভাবে একজন ব্যক্তির সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে? এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। অনুগ্রহ করে পরিবার এবং তাদের গোপনীয়তার প্রয়োজনীয়তার প্রতি যথাযথ সম্মান জানান।”

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy