নারীরা তাঁদের বক্ষযুগলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সব রকম চেষ্টা করেন, অথচ দৈনন্দিন কিছু ভুলের কারণে অজান্তেই এই অঙ্গের প্রাকৃতিক আকৃতি ও লাবণ্য নষ্ট হয়ে যায়। বয়স বাড়ার ছাপ পড়া থেকে শুরু করে আকৃতি নষ্ট হওয়া, সব কিছুর মূলে রয়েছে কিছু সাধারণ ভুল। জেনে নিন তেমনই ৫টি ভুলের কথা, যা আপনার স্তনের সৌন্দর্য কেড়ে নিচ্ছে।
১. ভুল অন্তর্বাস বাছাই
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব নারী খুব বেশি অন্তর্বাস পরিধান করেন না, তাঁদের তুলনায় যারা নিয়মিত অন্তর্বাস পরেন, তাঁদের স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্তও সুন্দর থাকে। তবে, মূল সমস্যাটি আসলে পরিমাণের চেয়েও সঠিক মাপের অন্তর্বাস না পরায়। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ভুল মাপের অন্তর্বাস দ্রুত স্তনের আকৃতি নষ্ট করে ফেলে। খুব বেশি টাইট বা খুব ঢিলেঢালা, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এবং স্তনের প্রাকৃতিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্তর্বাস অবশ্যই সঠিক মাপের হতে হবে, যা পর্যাপ্ত সাপোর্ট দেবে কিন্তু চাপ সৃষ্টি করবে না।
২. পর্যাপ্ত জল পান না করা
পর্যাপ্ত জল পান না করলে আপনার ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে এবং সময়ের আগেই ত্বক ঝুলে যেতে থাকে। শুধু মুখের ত্বক নয়, শরীরের সব অংশের ত্বকে, বিশেষ করে স্তনের ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায়। ত্বকের টানটান ভাব ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অপরিহার্য। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং স্তনের ত্বককে মসৃণ ও সতেজ দেখায়।
৩. অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব
সুতির পোশাক কিংবা পাতলা ফেব্রিকে অভ্যস্ত? জেনে রাখুন, প্রখর সূর্যরশ্মি আপনার মুখের ত্বকের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ত্বকেরই ক্ষতি করে। পোশাকে ঢাকা থাকলেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সূর্যের প্রখর উত্তাপ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেয় এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে। তাই বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না, বিশেষ করে স্তনের নরম ত্বকে।
৪. ধূমপান
ধূমপান মানবদেহের জন্য একটি অভিশাপের নাম, এবং নারীদের ক্ষেত্রে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরুষের চাইতে অনেকটাই বেশি। ধূমপান আপনার ত্বকের ইলাসটিনকে (Elastin) নষ্ট করে ফেলে, যা ত্বকে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে আপনাকে অনেক বেশি বয়স্ক দেখায়। ধূমপায়ী নারীদের স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বক ঝুলে পড়ার প্রবণতা বাড়ে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকা
ওজন কমানো অবশ্যই ভালো, তবে ওজন কমে যাওয়ার প্রভাব সবার আগে পড়ে আপনার স্তনের ওপর। কেননা স্তন মূলত ফ্যাট সেল দিয়ে তৈরি, তাই ওজন কমলে প্রথমেই স্তনে এর প্রভাব দেখা যায়। আপনি যখন বেশি মোটা হন, তখন ত্বকে স্ট্রেচ হতে হতে ইলাসটিসিটি হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে যখন আপনি স্লিম হয়ে যান, তখন স্তন ঝুলে যায়। তাই দ্রুত ওজন না কমিয়ে ধীরে সুস্থে ওজন কমানো উচিত এবং ওজন খুব দ্রুত ওঠানামা করতে দেওয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ওজন কমালে স্তনের আকৃতি অনেকটাই কম নষ্ট হবে এবং ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে পারবে।