দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। ফরিদাবাদ পুলিশ সম্প্রতি একটি রহস্যজনক লাল ইকো স্পোর্টস (EcoSport) গাড়ি (নম্বর DL10CK0458) আটক করেছে, যা তদন্তে নতুন মোড় এনেছে।
রহস্যজনক লাল গাড়ির হদিশ:
- গাড়ি উদ্ধার: লাল ইকো স্পোর্টস গাড়িটিকে ফরিদাবাদের খান্ডাওয়ালি গ্রামের কাছে পার্কিং অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
- সন্দেহের কারণ: পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত i20 গাড়ির পাশাপাশি এই লাল রঙের গাড়িটিকেও বিস্ফোরণ হওয়া এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল।
- মালিকানা: আটক করা লাল গাড়িটি বিস্ফোরণের মূলচক্রী হিসেবে সন্দেহভাজন ডা. উমর উন নবীর নামেই নথিভুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
মূলচক্রী উমর উন নবীর মৃত্যু রহস্য:
বিস্ফোরণে ব্যবহৃত i20 গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ডা. উমর উন নবী। বিস্ফোরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দারা উমরের মায়ের DNA নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বিস্ফোরণের পর গাড়ি থেকে যে দেহাংশ মিলেছে, সেটির সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
- জঙ্গি যোগ: শ্রীনগরে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটা থেকে শুরু করে ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার এবং দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ‘হোয়াইট কলার’ টেরর মডেলের হদিশ মিলেছে।
আত্মঘাতী হামলা নয়, আতঙ্ক থেকে বিস্ফোরণ:
সোমবার সন্ধ্যার ঘটনাপ্রবাহ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন, এটি আত্মঘাতী হামলা (Suicide Attack) নয়।
- চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত: সূত্রের খবর, পুলওয়ামা, ফরিদাবাদ ও দিল্লি-এনসিআর-এ যৌথ তল্লাশি অভিযানে জঙ্গি মডিউলের সদস্যরা একের পর এক গ্রেফতার হওয়ার পর জইশ জঙ্গি উমর উন নবী তীব্র চাপে পড়ে গিয়েছিল।
- অনুমান: তদন্তকারীদের অনুমান, আতঙ্ক থেকেই উমর ডিটোনেটর দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে টার্গেটে সজোরে ধাক্কা মারার মতো আত্মঘাতী হামলার প্যাটার্ন বা অভিঘাতের চিহ্ন বিস্ফোরণস্থলে মেলেনি।
নিহতদের শনাক্তকরণ:
বিস্ফোরণে নিহত ১২ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের দেহ শনাক্ত করে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি চারজনের শুধু দেহাংশ নিয়ে আসা হয়েছিল, যেগুলোর DNA অ্যানালিসিস চলছে।