আর কয়েক মাস পরই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভোটের উত্তাপ এখনই রাজ্য রাজনীতিতে অনুভূত হচ্ছে। এই আবহে, রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে বর্তমান বিধায়কদের সকলকে অবশ্যই জিতে আসতে হবে।
বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক:
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আহ্বানে বুধবার দুপুরে সুকান্ত মজুমদার বিধানসভায় পৌঁছন। সেখানে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে তিনি একটি বৈঠক করেন।
- আলোচনার বিষয়: বৈঠকে বিভিন্ন অঞ্চলের সমস্যা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোন কোন বিষয়ে সাহায্য প্রয়োজন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
- নির্দেশনা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে হলে আগামী কয়েক মাস বিধায়কদের কীভাবে এগোতে হবে, সেই নিয়েও নির্দেশ দেন সুকান্ত।
- সুকান্তের বার্তা: সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে সুকান্ত জানান, প্রত্যেক বিজেপি বিধায়ককে জিততেই হবে এবং আবারও বিধানসভায় ফিরে আসতে হবে।
রাজনৈতিক সমীকরণ ও জল্পনা:
সুকান্ত যখন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি ছিলেন, তখন শুভেন্দু সম্পর্কে প্রকাশ্যে তাঁর মন্তব্যের জেরে তাঁদের সমীকরণে কিছুটা দূরত্ব ছিল। তবে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দুজনের পারস্পরিক সমীকরণে বদল চোখে পড়ছে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রয়েছে। সুকান্তকে বিধানসভায় আমন্ত্রণ জানানো নিয়েও সেই প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও বিজেপি এই বৈঠককে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি, বরং এটিকে ‘বিজয়া সম্মিলনী’ বলেই দাবি করা হচ্ছে। সুকান্তর আগমন ঘিরে বিধানসভার ফটকের বাইরে ‘স্বাগত’ পোস্টারও ঝোলানো হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনে শুভেন্দুর অভিযোগ:
অন্যদিকে, আজই (বুধবার) শুভেন্দু অধিকারী ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত নথি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছন। তিনি মোট ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভুয়ো ভোটারের নথি জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। শুভেন্দু অভিযোগ তোলেন যে ভোটার তালিকায় একাধিক জায়গায় একই ভোটারের নাম রয়েছে এবং ৬৫ জন BLO (বুথ লেভেল অফিসার) তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ওই BLO-দের বিরুদ্ধে এখনও পদক্ষেপ করা হল না।