ক্লাস, অফিস কিংবা পার্টিতে বা অন্য কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় নিজেদেরকে আরো আকর্ষণীয়ভাবে মেলে ধরতে প্রিয় দু’ঠোঁট লিপস্টিক দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন অনেক নারী।
কিন্তু জেনে রাখা দরকার যেকোনো প্রসাধনসামগ্রীতেই কিছু না কিছু রায়াসনিক থাকে। লং লাস্টিং ম্যাট, ফ্রস্টেড বা শাইন এনহান্সার লিপস্টিকে ধাতুর অস্তিত্ব থাকে। কোনো লিপস্টিকই পুরোপুরি সিসামুক্ত হয় না, আর এই ধাতুটি আপনার শরীরে প্রবেশ করলে নানা সমস্যা হতে পারে।
লিপস্টিকের মাধ্যমে যে এক বা একাধিক ধাতুর সংস্পর্শে আসছেন প্রতিদিন, সেটা ইচ্ছে করলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বিভিন্ন গবেষণায় লিপস্টিক ও লিপগ্লসে সিসা ছাড়াও ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, ক্রোমিয়াম, কপার, নিকেলের মতো ধাতুর অস্তিত্ত্ব পাওয়া গেছে। যদিও তার মাত্রা খুব একটা বেশি নয়, তবুও দিনের পর দিন তা ব্যবহারের বিপক্ষেই সায় দেন বেশিরভাগ পরিবেশবিদ ও ত্বক বিশেষজ্ঞ।
এড়িয়ে চলুন গাঢ় শেডের লং লাস্টিং লিপস্টিকের দৈনিক ব্যবহার, তার মধ্যে ধাতুর মাত্রা বেশি থাকার কথা। মেকআপ শিল্পী ক্লিন্ট ফার্নান্ডেজ মনে করেন, অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাবেন, রাসায়নিক আর স্টেবিলাইজারের ব্যবহার কারসিনোজেনিক হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কোনো কিছুর উপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়া উচিত নয়।
লিপস্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই খুব ভালো করে ময়েশ্চরাইজারের পরত লাগান ঠোঁটে, তা ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করবে। কোনো র্যাশ, চুলকানি, ঠোঁটের রং বদলানোর মতো সমস্যা দেখা দিলে তখনই লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দিন। গর্ভবতী নারীর সিসার সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকারই পরামর্শ দেয়া হয়, কারণ তার ফলে গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
দিনে দুইবারের বেশি লিপস্টিক টাচ-আপ করার দরকার নেই। ঠোঁট চাটার অভ্যাস থাকলে এখনই সাবধান হোন, চাটলে লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করবে বেশি পরিমাণে। প্রত্যেকদিন গাঢ়, ম্যাট শেডের লিপস্টিক পরার দরকার নেই।
লিপস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করুন টিন্টেড লিপ বাম। সুগন্ধিবিহীন লিপবাম ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। সপ্তাহে অন্তত দু’বার লিপস্টিক না লাগানোর চেষ্টা করুন এবং বাচ্চা মেয়েদের হাতে কখনোই লিপস্টিক তুলে দেবেন না। শিশুদের ক্ষেত্রে এই জাতীয় ধাতু আরও বেশি বিপজ্জনক।