মেঘালয়ে নিখোঁজ দম্পতির মধ্যে স্বামীর পচাগলা দেহ উদ্ধার, স্ত্রীর খোঁজে পুলিশ

মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে সব শেষ। ইন্দোরের নবদম্পতি রাজা এবং সোনম রঘুবংশী মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর অবশেষে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর স্ত্রী সোনমের এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি, যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও রহস্য দানা বেঁধেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৩ মে ইন্দোরের রাজা এবং সোনম রঘুবংশী বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ে যান। সেখানে পাহাড় চড়তে গিয়েই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। ট্রেকিংয়ের মাঝেই বাড়ির লোকের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে রাজা এবং সোনমের কোনো খোঁজ মিলছিল না। দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর সম্প্রতি রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর হাতের ট্যাটু এবং হিরের নেকলেস দেখে রাজাকে শনাক্ত করা হয়।

রাজার দেহ উদ্ধার হলেও, সোনমের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনও অজানা। সোনম রঘুবংশীর পরিস্থিতিও কি রাজার মতোই হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে ডাকাতির ঘটনা বলেই মনে করছে, যদিও স্পষ্টভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। পরিবারের তরফে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে, যাতে কে বা কারা তাঁদের অপহরণ করল বা ডাকাতির ঘটনা ঘটল নির্মমভাবে, তা জানা যায়।

শেষ কথোপকথনে শ্বাসকষ্টের আভাস
নিখোঁজ হওয়ার দিন অর্থাৎ গত ২৩ মে সোনমের সঙ্গে তাঁর শাশুড়ির শেষবারের মতো কথা হয়। জানা যায়, ওইদিন সোনমের ব্রত ছিল। ঘুরতে গিয়েছেন বলে সোনমের শাশুড়ি তাঁকে কিছু খেয়ে নিতে বলেন। কিন্তু সোনম স্পষ্ট জানান, “ঘোরার চক্করে কি ব্রত ভেঙে ফেলব?”

ওই ফোনের রেকর্ডিং পরিবারের তরফে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে। সেই রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, ট্রেক করতে করতে সোনমের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ফলে তিনি পরে আবার ফোন করবেন বলে জানান। কিন্তু সেই ফোন আর তাঁর করা হয়ে ওঠেনি। এই শেষ কথোপকথনই এখন পুলিশের হাতে থাকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।

রাজা এবং সোনমের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে ইন্দোরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ এবং পরিবার উভয়েই সোনমের খোঁজে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। এই রহস্যজনক ঘটনার পেছনের আসল কারণ কী, তা জানতে তদন্ত চলছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy