খাবার নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর অনেক ধরনের সমস্যা থাকে। রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যাওয়া যেমন ভালো না, তেমনি আবার দ্রুত অনেক কমে যাওয়াও ভালো না। এই শর্করাই আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। ঘি কি ডায়াবেটিস রোগী আহার করতে পারবে? এই বিষয় নিয়ে অনেকের অনেক মতামত বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞগনের মতে, ঘি ডায়াবেটিস রোগী আহার করতে পারবে। ঘি এর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের উপকারি উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ঘি
ঔষুধ হিসাবে পূর্ব থেকেই ঘিয়ের ব্যবহার করে আসছে মানুষ। পুষ্টিবিদ ও বিশেজ্ঞ শিল্পা আরোয়ার মতে, ‘ঘি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ঔষুধ স্বরুপ। ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা হজমে দারুন ভুমিকা পালন করে থাকে। রান্নায় সময় ঘি দিয়ে রান্না করলে বা এক চামচ ঘি দিলে আমাদের দেহের কোন ধরনের ক্ষতি করে না। বাড়িতে তৈরি ঘি যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তবে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
ভাতের সাথে ঘি যোগ করলে কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শরীরে শক্তির যোগান দেয়। রক্তে কোন ধরনের শর্করা জমা না রেখে সেটা শরীরে হজমে দারুন ভুমিকা পালন করে থাকে। ফলে রক্ত থেকে শর্করার পরিমান কমতে থাকে। শুধু ডায়াবেটিস উপকারে করে না, ঘি মানবদেহের শরীরে অনেক ধরনের শক্তির ও পুষ্টির চাহিদা পূরন করে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীর সাধারন হ্রদরোগের সমস্যা হয়ে থাকে। ঘি অনেকটা হ্রদরোগের সমস্যা সমাধানে ভুমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীর দিনে দিনে শর্করার পরিমান বাড়তে থাকলে বা রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে রক্ত প্রবাহ নালীতে চর্বি জমা হতে থাকে। এই চর্বি সাধারনত উচ্চ ফ্যাটি যুক্ত খাবার থেকে শরীরে জমা হয়। ঘি গরুর দুধের তৈরি হওয়ার কারনে এবং সহজেই গলি যায় বলে রক্তনালীর প্রাচীরে জমাকৃত চর্বি কাটতে সহায়তা করে।
ঘিতে উপস্থিত ভিটামিন
ঘিয়ের মধ্যে উপস্থিত থাকে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন। ভিটামিন এ, ভিটামিন-বি এবং ভিটামিন-কে উপস্থিত থাকে। এই সকল উপাদান শরীরর নানা রোগ প্রতিরোধসহ শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরন করে থাকে।
প্রতিদিনের খাবারের সাথে এক চা চামচের বেশি ঘি ব্যবহার করবেন না। ঘি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি, তেমনি মাত্রা অতিরিক্ত ঘি শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। এতে করে মানবদেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া একজন রোগী নানা ধরনের রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকে। তাই কোন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন ঘি ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে নিবেন