বঙ্গ রাজনীতিতে বড়সড় ধামাকা দিতে প্রস্তুত ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আগামী সোমবার, ২২ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের টেক্সটাইল মোড় থেকে নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করতে চলেছেন তিনি। কিন্তু সেই আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের ৪৮ ঘণ্টা আগেই বেলডাঙায় তাঁর প্রস্তাবিত মসজিদের সামনে যে জনসমুদ্র দেখা গেল, তা দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষেরই।
জুম্মাবারের নামাজে রেকর্ড জমায়েত
শুক্রবার জুম্মার নামাজকে কেন্দ্র করে বেলডাঙায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়। ভিড় এতটাই ছিল যে, তিল ধারণের জায়গা ছিল না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে দু’দফায় নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করতে হয়। হুমায়ুন কবীরের দাবি অনুযায়ী, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম এমনকি ত্রিপুরা থেকেও মানুষ এই নামাজে যোগ দিতে আগের রাত থেকে ভিড় জমিয়েছিলেন।
২০২৬-এ ‘কিংমেকার’ হওয়ার টার্গেট?
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, নতুন দল ঘোষণার আগে এটি হুমায়ুন কবীরের একটি বিশাল শক্তিপ্রদর্শন। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বা তৃণমূল—কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সরকার গড়তে তাঁর দলের সমর্থনই হবে শেষ কথা। আজকের এই ভিড় সেই লক্ষ্যেই অনেকটা অক্সিজেন জোগাচ্ছে তাঁকে।
কৌশলী অবস্থান হুমায়ুনের
নতুন দল গড়ার আগে এদিন কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন এই দাপুটে নেতা। এদিন কোনো উসকানিমূলক রাজনৈতিক মন্তব্য না করে তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দেন। তিনি বলেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম। নিজের ধর্মের প্রতি আমরা যেমন আস্থাশীল, অন্য ধর্মের প্রতিও তেমনই শ্রদ্ধাশীল থাকব। অন্য কোনো মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ আমরা করব না।”
টেক্সটাইল মোড় থেকে সোমবার কী নতুন সমীকরণ উঠে আসে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।