সামনেই লোকসভা ভোট, আর তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে ‘বাঙালি অস্মিতা’ নিয়ে রেষারেষি। এতদিন এই ইস্যুটি মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে ছিল। কিন্তু এবার বিজেপিও মাঠে নেমেছে। দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করে তারা সারা দেশে ‘বাঙালি মিলন সমারোহ’ নামে এক নতুন কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে।
‘বাঙালি মিলন সমারোহ’ কী?
বিজেপি এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারা ভারতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি দুর্গাপুজোর আয়োজকদের সাহায্য করতে চায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে তো বটেই, এমনকি যেখানে তারা ক্ষমতায় নেই, সেখানেও যাতে বাঙালিরা সুষ্ঠুভাবে পুজো করতে পারে, তার জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে। দলের দুই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার গৌতম এবং তরুণ চুঘ এই কর্মসূচির নেতৃত্বে আছেন। রাজ্যস্তরের কমিটিও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি বাংলার বিজেপি নেতারাও থাকবেন।
বিজেপির এই পদক্ষেপ কেন?
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি এর মাধ্যমে ‘বাংলা বিরোধী’ তকমা ঘোচাতে চাইছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ‘বাঙালি অস্মিতা’র স্লোগান তুলে বেশ সাফল্য পেয়েছিল। এবার বিজেপিও একই পথে হাঁটছে। তারা দেখাতে চায় যে, তারা শুধু বাংলার নয়, সারা দেশের বাঙালিদের পাশে আছে।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিল্লির সরকার বাঙালিদের পুজোয় মুগ্ধ। তাই তারা এই উদযাপনের অংশীদার হতে চাইছে। প্রতিটি রাজ্যে একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে পুজোতে কোনো সমস্যা না হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সম্প্রতি তার ভাষণে বাংলার বিভিন্ন মন্দিরের কথা তুলে ধরেছেন। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে সামনে এনে বিজেপি এবার বাংলার মানুষের মন জয় করতে চাইছে। এখন দেখার বিষয়, এই নতুন কৌশল কতটা সফল হয়।