কিশোরকে নৃশংসভাবে নির্যাতন, নিখোঁজ নাবালকের খোঁজে পুলিশ, দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার

কলকাতা সংলগ্ন সন্তোষপুরের একটি জিন্স কারখানায় ১৪ বছরের এক কিশোরকে নির্মমভাবে মারধর ও বিদ্যুৎ শক দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই বর্বরোচিত কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশি ধরপাকড় শুরু হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। আজ তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন এই দুজনই কারখানায় উপস্থিত ছিল।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন ধৃতদের সঙ্গে আরও কয়েকজন কারখানায় উপস্থিত ছিল। মূল অভিযুক্ত, কারখানার মালিক শাহেনসাসহ অন্যদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। নির্যাতিত নাবালক ইসলামপুরের ছোঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের দাবি, মিথ্যা মোবাইল চুরির অভিযোগে দড়ি দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে তাকে মারধর করা হয় এবং তার শরীরে কারেন্টের শক দেওয়া হয়।

তদন্তে অসঙ্গতি, নিখোঁজ নাবালকের খোঁজে বিশেষ দল

রবীন্দ্রনগর থানার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই ইসলামপুর রওনা দিয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের বক্তব্যে বহু অসঙ্গতি পেয়েছে। একজন দাবি করেছে যে, মারধরের পর নাবালক কারখানা থেকে পালিয়ে যায়। অন্যজন জানিয়েছে, তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল—তবে কোন জায়গায়, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি।

পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় ইসলামপুর ও কলকাতা—উভয় এলাকাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিখোঁজ নাবালকের খোঁজে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ও তার পরিবার। রবীন্দ্রনগরে নাবালকের খোঁজে একটানা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকার সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে আইসির নেতৃত্বে থানার একটি দল বুধবার সকালে কারখানা সংলগ্ন এলাকায় যায়। ২৮ তারিখের ঘটনার পর থেকে নাবালককে কি এলাকা থেকে বের করা হয়েছিল? বের করা হলেও, কে বা কারা তার সঙ্গে ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy