অনিশ্চয়তার মেঘ কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে চলেছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)। এফএসডিএল (FSDL) সরে যাওয়ার পর টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা কাটাতে এবার সরাসরি ময়দানে নামল ‘ক্লাব জোট’। তবে বিস্ময়কর বিষয় হলো, এই জোটে ব্রাত্য রাখা হয়েছে কলকাতার অন্যতম প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গলকে। লাল-হলুদকে ছাড়াই ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক ও চিঠি চালাচালি করল বাকি ক্লাবগুলো।
ফেডারেশনকে ১০ কোটির প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে দীর্ঘ ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ক্লাব জোটের পক্ষ থেকে একটি বড় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে:
-
আইএসএল আয়োজন করতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) ১০ কোটি টাকা অনুদান দিতে প্রস্তুত তারা।
-
লক্ষ্য একটাই— যেভাবেই হোক দ্রুত টুর্নামেন্ট শুরু করা।
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও ক্লাবদের পরিকল্পনা
ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, সরকার এই লিগ আয়োজনে সরাসরি টাকা দিতে পারবে না। ক্লাবগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এর প্রেক্ষিতে ক্লাবগুলোকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিগ আয়োজনের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। ক্লাবগুলো প্রস্তাব জমা দিলে তা সুপ্রিম কোর্টে জানাবে কেন্দ্র।
ইপিএল মডেলে আইএসএল?
ক্লাব জোটের পক্ষ থেকে একটি বৈপ্লবিক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (EPL) আদলে একটি ‘কনসোর্টিয়াম’ বা জোট গড়ে আগামী ১৫ বছরের জন্য আইএসএল চালানোর অধিকার চাইছে। তবে এখানে একটি আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে:
-
ক্লাবদের দাবি: বিনিয়োগ টানার জন্য ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ সংশোধন করতে হবে।
-
ফেডারেশনের উত্তর: নতুন জাতীয় ক্রীড়ানীতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গঠনতন্ত্র সংশোধন সম্ভব নয়।
ইস্টবেঙ্গল কেন নেই?
আইএসএল আয়োজন নিয়ে বাকি ক্লাবগুলো একজোট হলেও ইস্টবেঙ্গলকে এই প্রক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, বিশেষ কিছু শর্তে সই না করায় লাল-হলুদ শিবিরকে ছাড়াই আপাতত এগোচ্ছে এই জোট। এটি কলকাতার ফুটবল মহলে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কবে শুরু হতে পারে টুর্নামেন্ট?
বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে জানুয়ারিতে খেলা শুরু হওয়া প্রায় অসম্ভব। ফুটবলার এবং ক্লাবগুলো আশাবাদী যে, পরিকল্পনার ব্লু-প্রিন্ট চূড়ান্ত হলে ফেব্রুয়ারি মাসেই মাঠে গড়াতে পারে আইএসএল-এর এবারের আসর।