ছত্তিশগড়ের অভনপুর থানা এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। গত ১০ অক্টোবর আমনেরের ঘোড়া পুলের কাছে একটি নালায় ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর রহস্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের কিনারা করেছে এবং নিহত যুবকের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনাক্ত ও আঘাতের চিহ্ন:
পুলিশ ও অপরাধ দমন শাখা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি পরীক্ষা করে। নিহত যুবকের নাম সোনু। তাঁর মুখমণ্ডল এবং মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। আঘাত দেখে পুলিশের অনুমান, কোনো ভারী বস্তু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল। এরপরই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
খুনের পদ্ধতি:
রায়পুর গ্রামীণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) কীর্তন রাঠৌর জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা একটি মোটরবাইকে করে সোনুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমনের নালার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা সোনুকে লোহার রড এবং পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। খুনের পর অভিযুক্তরা সোনুর দেহটি নালায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
বন্ধুদের স্বীকারোক্তি:
পুলিশ অভিযুক্ত সুমিত বান্দে, অজয় রাত্র এবং গুলশন গায়কোয়াড়-কে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তিনজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি (CRPC)-এর ধারা ১০৩-এর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযুক্তরা বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।
বন্ধুদের হাতেই এই নৃশংস খুনের ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।