মিমি-অঙ্কুশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED, নাম জড়াল টিম ইন্ডিয়ার মহাতারকাদেরও!

বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অর্থপাচার বা ‘মানি লন্ডারিং’ মামলায় এবার টলিউডে বড়সড় পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু টলিউড নয়, এই মামলার আঁচ গিয়ে পড়েছে ক্রিকেট এবং বলিউড মহলেও।

কত টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত?

পিটিআই (PTI)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-এর আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে। জানা গিয়েছে:

  • অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

  • অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার ৪৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ইডির নজরে। তদন্তকারীদের দাবি, এই অর্থ সরাসরি ‘অপরাধলব্ধ আয়’ বা অনলাইন বেটিং চক্রের অবৈধ মুনাফার সঙ্গে যুক্ত।

তালিকায় যুবরাজ থেকে সোনু সুদ

তদন্ত যত এগোচ্ছে, এই চক্রের জাল ততই বড় হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, এই একই মামলায় প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, রবিন উথাপ্পা এবং বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের নামও জড়িয়েছে। এর আগেই ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার ১১.১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।

টার্গেটে নিষিদ্ধ ‘১এক্সবেট’ (1xBet)

তদন্তের মূলে রয়েছে বিদেশে নথিভুক্ত বেআইনি বেটিং প্ল্যাটফর্ম ১এক্সবেট। ইডির অনুমান, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সাইপ্রাস এবং কুরাসাও-তে এই সংস্থার সদর দপ্তর হলেও, ভারতে তারা নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিল। ২০২৩ সালে ভারত সরকার ১এক্সবেট-সহ একাধিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করলেও মিরর সাইট ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে এই চক্র এখনও সক্রিয় বলে অভিযোগ।

তারকাদের জিজ্ঞাসাবাদ

তদন্তের অংশ হিসেবে এর আগেই সংশ্লিষ্ট সব তারকাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির দাবি, এই তারকারা বিভিন্ন সময়ে ওই অ্যাপের হয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন, যার বিনিময়ে তাঁরা যে অর্থ পেয়েছেন তা আসলে বেআইনি পথে আসা টাকা। এই ঘটনায় টলিউড থেকে ক্রিকেট জগত—সর্বত্রই এখন তীব্র চাঞ্চল্য।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy