ডায়াবেটিসের সমস্যায় পড়া মানুষেরা নিয়মিত ব্যায়াম করলে অনায়াসে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন। এতে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমনি রক্তে সুগারের মাত্রাও ঠিক থাকবে।
এনডিটিভির স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিসে ভোগা মানুষদের জন্য ডায়েট এবং ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ব্যায়াম।
মার্কিন চিকিৎসকেরা বলছেন, সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত। তাতে হার্টরেট ভালো থাকবে।
কিন্তু সমস্যা হলো করোনার দিনগুলোতে বাইরে যাওয়া এড়াতে হচ্ছে। এতে ব্যায়াম প্রায় বন্ধ। ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হলো-
১. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে বাসায় হাঁটুন।
২. বাসা তেমন বড় না হলে ছাদে হাঁটা যেতে পারে। তবে ছাদে বেশি লোকসমাগম হলে সেখানে যাওয়ার দরকার নেই।
৩. একবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারলে তিনবারে হাঁটুন। সকালের খাবার, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের দেড় ঘণ্টা পর ১৫ মিনিট (না পারলে ১০ মিনিট) করে হাঁটুন।
৪. এখনো আগের মতোই নিয়ম করে হাঁটা শুরুর আগে ওয়ার্মিং আপ ও পরে কুলিং ডাউন করবেন। ৫-১০ মিনিট খালি হাতের ব্যায়াম করুন।
৫. যাদের পক্ষে সম্ভব ট্রেডমিল মেশিন, ঘরে ব্যবহারযোগ্য সাইকেলে ব্যায়াম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের ব্যায়ামই যথেষ্ট।
৬. দেয়াল বা কোনো বড় শক্ত কাঠামোর বিপরীতে হাত ও পা দিয়ে চাপ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড শরীরের ওজন ধরে রাখুন (রেজিসস্ট্যান্স এক্সারসাইজ)।
৭. কম বয়সীরা দড়ি লাফ (দিনে ৩০০ বারের মতো) দিতে পারেন।
৮. অস্থিসন্ধির (জয়েন্ট) নড়াচড়ার ব্যায়াম করতে হবে (যেমন-হাঁটু বাঁকা ও সোজা করা, কোমর, ঘাড়, গোড়ালি, কনুইয়ের ব্যায়াম ইত্যাদি)।
৯. রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করুন। কোনোদিনই যেন বাদ না পড়ে। একদিন হঠাৎ করে অনেক বেশি সময় ব্যায়াম করবেন না।
১০. অসুস্থ হলে, জ্বর বা ডায়রিয়া হলে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন।bs