গরমে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ঘামের সঙ্গে ধুলা-বালি ত্বকে মিশে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইট হেডসের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। অনেকেই সারা বছরই হোয়াইট হেডসের সমস্যায় ভোগেন, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। মানসিক অশান্তি, ধূমপান এবং পরিচ্ছন্নতার অভাবেও হোয়াইট হেডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত নাকেই বেশি চোখে পড়ে।
এই জেদি হোয়াইট হেডস দূর করতে অনেকে বাজারচলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন, কিন্তু তাতেও অনেক সময় সুফল মেলে না। এমন পরিস্থিতিতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হোয়াইট হেডস দূর করার কার্যকরী ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো:
১. অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রস:
একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ খাঁটি অ্যালোভেরা জেল ও ১ চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি নাকে ৩-৪ মিনিট ধরে মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন বার এটি করলেই হোয়াইট হেডসের সমস্যার সমাধান হবে। লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড ত্বক পরিষ্কার করে এবং অ্যালোভেরা ত্বককে মসৃণ রাখে।
২. মধু: প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
১ চা চামচ মধু হালকা গরম করে হোয়াইট হেডসের স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হোয়াইট হেডস পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত একদিন অন্তর এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
৩. আপেল সাইডার ভিনেগার: ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে
২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হোয়াইট হেডসের ওপর ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপেল সাইডার ভিনেগার ত্বকের মৃত কোষ সরাতে এবং ছিদ্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৪. বেকিং সোডা: মৃদু এক্সফোলিয়েন্ট
২-৩ চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। হোয়াইট হেডসের ওপর এই পেস্টটি লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডা ত্বকের ছিদ্র থেকে ময়লা ও অতিরিক্ত তেল সরাতে কার্যকর।
৫. হলুদ: অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক
আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া-এর সঙ্গে আধা চা চামচ জল বা মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। হোয়াইট হেডসের ওপর এটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত ২ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার পাবেন। হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আপনি হোয়াইট হেডসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং পেতে পারেন পরিষ্কার ও সতেজ ত্বক। তবে, ত্বকে কোনো অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।