শাশুড়ি এবং বউমার সম্পর্কটিকে প্রায়শই টক-মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করা হয়। যুগ যুগ ধরে এই সম্পর্কের নানা রূপ দেখা গেছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকে, তবে কিছু সময় কোথায় যেন সেই মাধুর্য হারিয়ে যায়। তাই শাশুড়ির সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চললে সংসারে শান্তি বজায় থাকে।
কিছু সম্পর্ক স্বভাবতই একটু বেশি স্পর্শকাতর হয় এবং সেগুলোতে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। শাশুড়ি ও বউমার সম্পর্ক তেমনই একটি। ‘মা’ এবং ‘মায়ের মতো’ – এই দুটি শব্দের মধ্যে সামান্য ভারসাম্য হারালেই সংসারে অশান্তি নেমে আসতে পারে।
এই প্রসঙ্গে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কীভাবে বজায় রাখা যায়, সেই বিষয়ে বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত সুজিতজি মহারাজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় বাতলেছেন। তার দাবি, এই বিষয়গুলি মেনে চললে শাশুড়ি ও বউমার সম্পর্কে মধুরতা বজায় থাকবে। অভিজ্ঞ এই বাস্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী –
দান করুন: সংসারে শান্তি বজায় রাখতে নিয়মিত খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দান করা উচিত। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, দান করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন: ঘরে যেন কোনো দুর্গন্ধ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। পারলে সুগন্ধী ধূপ জ্বালাতে পারেন, যা শাশুড়ি ও বউমা উভয়ের মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে। সুগন্ধিত পরিবেশ মানসিক শান্তির জন্য অপরিহার্য।
একসঙ্গে খাবার গ্রহণ: সম্ভব হলে দিনের একটি বেলার খাবার শাশুড়ির সঙ্গে বসে খান। খাবার খেতে খেতে নিজেদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা করুন। এতে কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটানো যাবে এবং একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কেও জানতে পারবেন। পারস্পরিক বোঝাপড়া সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
কাঁটা জাতীয় গাছ এড়িয়ে চলুন: ক্যাকটাস বা অন্য কোনো কাঁটা জাতীয় গাছ ঘরের ভেতরে একেবারেই রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র মতে, এই ধরনের গাছ সংসারে মনোমালিন্য ও কলহের সৃষ্টি করতে পারে এবং শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।
পশু-পাখিদের খাবার দিন: পারলে দিনের শুরুতেই কোনো পশুকে খাবার দিন। এতে সারা দিন ভালো কাটবে এবং মনও প্রফুল্ল থাকবে। বাড়ির বউরা ছাদে বা উঠোনের কিছুটা জায়গায় পাখিদের জন্য খাবার ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এটি ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারে সাহায্য করে।
পণ্ডিত সুজিতজি মহারাজের এই বাস্তু টিপসগুলি মেনে চললে শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে এবং সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে বলে আশা করা যায়। এই নিয়মগুলি কেবল সম্পর্কের উন্নতিতেই সাহায্য করবে না, বরং একটি harmonius পরিবেশ তৈরিতেও সহায়ক হবে।