“চকলেট লাগবেই আজ” এই বলে জেদ সোনার? তাহলে এই লেখাটি একবার পড়ুন

শিশুদের বায়না মেটাতে অভিভাবকরা রোজ ললিপপ কিংবা চকলেট ধরিয়ে দেন। এতে করে বড়রাই ছোটদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। নিয়মিত এসব খেলে শিশুদের একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে এই বদভ্যাসের কয়েকটি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে দ্রুত জেনে নিন। আর তারপর ঝটপট এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা লেগে পড়ুন। এই কাজটা করলেই কিন্তু খেলা ঘুরে যাবে। নইলে সমস্যার শেষ থাকবে না।

রোগব্যাধি পাতছে ফাঁদ!

বাচ্চাদের লজেন্স প্রীতি প্রশ্নাতীত। তাই তো তাদের মধ্যে অনেকেই নানা উছিলায় দিনে একাধিক ললিপপ, চকলেট খেয়েই রসনাতৃপ্তি করে। এটাই তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস।

আর ছোটদের এহেন চকলেট প্রীতি দেখেই কিন্তু আঁতকে ওঠেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, চকলেটের মতো একটি মিষ্টি খাবার রোজ রোজ খেলে একাধিক সমস্যার ফাঁদে পড়তে পারে ছোট্ট সোনা। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে চাইলে বাবা-মায়েদের একটু কঠোর হাতে সন্তানের এই বদভ্যাস কাটাতে হবে।

এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন চকলেটকে হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের ভিলেন বানানো হচ্ছে? জানুন বিস্তারিত।

কমতে পারে ইমিউনিটি​

শরীরকে একাধিক সংক্রামক অসুখের থেকে রক্ষা করে ইমিউনিটি। তাই সন্তানকে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ছুটকো সমস্যা থেকে বাঁচাতে চাইলে তার ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখতে হবে। তবে মুশকিল হল, ছোট্ট সোনা নিয়মিত লজেন্স খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার বদলে দুর্বল হওয়ার আশঙ্কাই বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তাদেরকে রোজ এইসব মিষ্টি খাবার খেতে দেবেন না।

পড়াশোনায় মন বসাতে পারবে না সন্তান​

ক্যান্ডি খাওয়ার পর শরীরে অ্যাড্রিনালিন নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। আর এই হরমোন মন থেকে শান্তি কেড়ে নেওয়ার কাজে একাই একাশো। আর সেই কারণেই পড়াশোনায় মন বশাতে গিয়ে আনমনা পড়ে সন্তান। এমনকি তার মাথায় ভিড় জমাতে পারে দুশ্চিন্তা। তাই সন্তানের পড়াশোনার কথা ভেবে এবার অন্তত তাকে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিন। তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে।

কমবে দৃষ্টিশক্তি

নিয়মিত একগাদা লজেন্স খেলে যে রক্তে সুগারের মাত্রা কিছুটা হলেও বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য! আর ছোটদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে তা সরাসরি তার চোখের ক্ষতি করে দিতে পারে। তরফলে দ্রুত কমতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। তাই ছোটদের চোখের স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলেও তাকে নিয়মিত লজেন্স খেতে দেবেন না। শুধুমাত্র এই নিয়মটা মেনে চললেই অনায়াসে একাধিক রোগব্যাধিকে এড়িয়ে যেতে পারবে সন্তান।

​বাড়বে পেটের সমস্যা​

লজেন্সে মজুত থাকা অত্যধিক মিষ্টি কিন্তু অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর কোলোনে ক্ষতিকর জীবাণুর সংখ্যা বাড়লে যে অচিরেই একাধিক পেটের সমস্যার ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই ছোট্ট সোনাকে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে চাইলে তার সঙ্গে চকলেটকে বিচ্ছেদ করিয়ে দিন।

ওজন হবে ঊর্ধ্বমুখী​

এক একটি চকলেট হল ক্যালোরির ভাণ্ডার। আর নিয়মিত এই হাই ক্যালোরি ফুড খেলে যে ওজন বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই সন্তানের ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইলে, তাকে রোজ রোজ লজেন্স খেতে দেবেন না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলেই কিন্তু বিপদে পড়বে ছোট্ট সোনা।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy