অনেক নারীকেই প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এই অস্বস্তিকর অনুভূতির প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের কারণেও প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে।
রোগের কারণ:
মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায়, মলদ্বার থেকে জীবাণু খুব সহজেই মূত্রনালীতে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এছাড়াও, যৌন সঙ্গমের কারণেও অনেক সময় জীবাণু মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে পারে। এসব জীবাণু মূত্রনালী হয়ে কখনো কখনো মূত্রথলি ও কিডনিতে পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং জটিলতা সৃষ্টি করে।
রোগের লক্ষণ:
এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা-পোড়া অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে পিঠের পেছনের দিকে এবং পেটের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাবের পরিমাণ সাধারণত কম হয়। প্রস্রাব ঘোলাটে, দুর্গন্ধযুক্ত এবং এমনকি রক্তমিশ্রিতও হতে পারে। এছাড়াও, যৌন মিলনের সময়ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
প্রতিকার:
এই সমস্যা গুরুতর না হলে সাধারণত ঘরে বসেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। নিচে তেমনই একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী:
এক চামচ জিরা পাউডার
দুই চামচ আদার রস
হাফ কাপ গরম জল
ব্যবহারের নিয়ম:
উপরের তিনটি উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন পান করুন। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। অন্যদিকে, জিরা পাউডারে কিউমিনালডিহাইড নামক একটি বিশেষ এনজাইম থাকে, যা ভেজাইনার প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে দারুণ কাজ করে।
তবে এই ঘরোয়া চিকিৎসা প্রতিদিন চালিয়ে যেতে হবে। অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে তেমন ফল পাওয়া নাও যেতে পারে। যদি ঘরোয়া উপায়ে কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যার উন্নতি না হয় অথবা তীব্রতা বাড়ে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।