যারা অধিক চাপ নিয়েও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারেন, তাদের জন্য দুঃখের সংবাদ। মাথার চুল হারিয়ে দ্রুতই টাক হবার ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। গবেষকরা বলছেন, সপ্তাহে ৫২ ঘণ্টার বেশি কাজ করলেই এ সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। তবে ৪০ ঘণ্টা থেকে কমবেশি কিছু সময় স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
১৩ হাজার পুরুষের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছে, তাদের চুল ঝরে পড়ার হার বেশি। গবেষকরা বলছেন, চাপের ফলে এক ধরনের হরমোন নির্গমনের হার বেড়ে যায়। যার প্রভাবে চুল পড়ে যায়।
কেউ যখন মানসিকভাবে হতাশায় ভোগে, তখনো চুল ঝরে যাওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, চাপে থাকার কারণে ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম চুলের গোড়ায় আঘাত হানে। ফলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জেরে চুল ঝরে যায়।
গবেষকরা বলছেন, অত্যধিক সময় ধরে কাজ করা, মানসিক চাপ ও হতাশার ফলে চুলের বৃদ্ধি আটকে যায়। সে কারণেও একপর্যায়ে চুল ঝরতে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সানকিনওয়ান ইউনিভার্সির মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা ওই গবেষণা করেছেন। পেশাজীবী পুরুষদের ওপর তারা গবেষণাটি করেছেন।
গবেষক কিয়াং হোন সন বলেন, বিশেষ করে পুরুষ কর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ফলে তাদের শরীরে এর প্রভাব পড়ে। অন্য অনেক গবেষণাতেও উঠে এসেছে, চাপের ফলে বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি কমে যায়। তবে আমাদের গবেষণায় দেখা হয়েছে, চুলের বৃদ্ধিতে কী ধরনের প্রভাব পড়ে। আমরা দেখেছি, অতিরিক্ত কাজের ফলে চুলের বৃদ্ধি আটকে যায় এবং চুল ঝরে পড়ে।