টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের অসচেতনতা প্রায়শই নজরে পড়ে। তবে জানলে অবাক হবেন, টয়লেট ব্যবহারের কিছু ভুল অভ্যাস ডেকে আনতে পারে একাধিক গুরুতর রোগ। বিশেষত পুরুষদের প্রস্রাবের সময় একটি নির্দিষ্ট ভুল কঠিন রোগের কারণ হতে পারে, এমনই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দাঁড়িয়ে প্রস্রাব: এক নীরব বিপদ?
নারীরা সাধারণত কমোড বা লো প্যানে বসে প্রস্রাব করেন। কিন্তু পুরুষদের বেশিরভাগই দাঁড়িয়েই প্রাকৃতিক কর্মটি সারতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর এই অভ্যাসটিই ডেকে আনছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, এমনই দাবি করছেন একজন নেতৃস্থানীয় ইউরোলজিস্ট। যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের ডা. জেরাল্ড কলিন্স সতর্ক করে বলেছেন যে, অনেক পুরুষ ভুলভাবে টয়লেটে যাচ্ছেন, যা তাদের মূত্রাশয়ের ক্ষতি করতে পারে এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে। তার মতে, নারীদের মতো পুরুষদেরও বসে প্রস্রাব করা উচিত। এটি মূত্রাশয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
বিশ্বজুড়ে পুরুষদের অভ্যাস: এক সমীক্ষার ফল
পুরুষদের প্রস্রাব নিয়ে ইউগভ. (YouGov) এর একটি প্রতিবেদনের পর এই বিশেষজ্ঞ তার দাবি করেছেন। ১৩টি দেশের ৭ হাজার পুরুষের ওপর পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পুরুষই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
অস্ট্রেলিয়া: সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৫ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ প্রতিবার প্রস্রাব করতে বসেন, তবে ২৭ শতাংশ পুরুষ ব্যস্ততার মাঝে প্রস্রাবের সময় ‘কখনো বসেন না’।
জার্মানি: মজার বিষয় হলো, জার্মানির পুরুষদের মাঝেই সবচেয়ে বেশি বসে প্রস্রাব করার প্রবণতা দেখা গেছে। সেখানকার ৪০ শতাংশ পুরুষ প্রস্রাব করার সময় ‘সর্বদা’ বসেন।
সিঙ্গাপুর: অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে কম পুরুষরা বসে প্রস্রাব করেন। সেখানকার ৯৫ শতাংশ মানুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাবে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বসে প্রস্রাবের স্বাস্থ্যগত সুবিধা
টেলিগ্রাফে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. কলিন্স দাবি করেন, “বসে প্রস্রাব করলে পেলভিক পেশী ও মেরুদণ্ড সম্পূর্ণ শিথিল হয়, যা প্রস্রাবেগ ঠিক রাখে।” এই বিশেষজ্ঞ আরও জানান, বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রস্রাবের জন্য বসে থাকা অত্যন্ত উপকারী। যদিও, ইউগভ. সমীক্ষায় দেখা গেছে, বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে কম বয়সীদের তুলনায় বসে প্রস্রাবের প্রবণতা কম।