পুজোর আনন্দ-উৎসবেও থামল না অপরাধ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকায় মহাষ্টমীর রাতে এক গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মধ্যরাতে দরজা ভেঙে প্রবেশ:
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় গৃহবধূর স্বামী ঘরে ছিলেন না। এই সুযোগে মধ্যরাতে তিন জন অভিযুক্ত বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। অভিযোগ, তারা ওই গৃহবধূর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখায় এবং এরপর তাঁকে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্তদের নাম পিঙ্কু সরদার, আরশেদ মোল্লা এবং আনোয়ার মোল্লা। তারা তিনজনই এলাকার বাসিন্দা।
নির্যাতিতা মহিলার দাবি, ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে চিৎকার করে স্থানীয়দের সাহায্য চান। তাঁর আর্তনাদে আশপাশের গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন এবং সংলগ্ন এলাকা ঘিরে ফেলে। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় পিঙ্কু সরদার এবং আরশেদ মোল্লা নামে দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলা হয়।
এরপর কুলতলি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূ থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনোয়ার মোল্লা এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।