বয়স ৪০ পেরোলেই নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য। চিকিৎসকরাও এই বয়সের পর স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। বার্ধক্যে সুস্থ জীবন যাপনের প্রস্তুতি শুরু করা উচিত এই সময় থেকেই। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এইসব স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে ৪০-এর পর থেকে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কেবল শরীরচর্চা নয়, খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি কিছুটা হলেও ভিন্ন হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ৪০ বছর বয়স পার করলে পুরুষরা নিজেদের সুস্থ রাখতে কী ধরনের খাবার গ্রহণ করবেন:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ৪০ পেরোনো পুরুষদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতেও দারুণ কাজ করে। মুসুর ডাল, বিভিন্ন ধরনের শাক, বাদাম, শুকনো ফল (ড্রাই ফ্রুটস), মটরশুঁটি এবং ওটসের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার: উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ৪০ বছর বয়সের পর থেকে কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। কলা এবং পালং শাকের মতো কিছু ফল ও সবজিতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। এই ধরনের খাবার শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট পরিহার: ৪০ পেরোলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ। রেড মিট (লাল মাংস) এবং দুগ্ধজাত পণ্যে এই ধরনের ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। নিয়মিত এই খাবারগুলো গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
৪০ বছর বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। এই সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে পুরুষরা দীর্ঘকাল সুস্থ ও সক্রিয় জীবন যাপন করতে পারেন। তাই উপরোক্ত খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যোগ করে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।