ব্রণ নিয়ে চিন্তিত? এই সমস্যার কিছু ঘরোয়া ট্রিক শিখেনিন

নারী কিংবা পুরুষ উভয়ই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যায় একটু বেশিই ভুগতে দেখা যায়। খুব কম মানুষই আছেন যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন না। ধূলাবালি, দূষণের কারণে ব্রণের সমস্যা অহরহ দেখা যায়। তবে ছেলেদের চেয়ে তরুণ বয়সের মেয়েদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ কিংবা নামীদামী প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিন্তু এসব ব্যবহার করেও জেদি ব্রণ এতো সহজে দূর হতে চায় না। বরং ব্রণ দূর হওয়ার বদলে তা আরো বেড়ে যায়। জানেন কি, এই সমস্যা সহজ সমাধান লুকিয়ে আছে আপনার রান্নাঘরেই। সেই জাদুকরী উপাদান্তি হচ্ছে রসুন। কী অবাক হচ্ছেন? অবাক না হয়ে রসুন নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন মিলবে সুফল।

রসুন যেভাবে ব্রণ কমায়

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ রসুন বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াকেও মেরে ফেলতে সক্ষম রসুন। রসুনের অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক উপাদান ব্রণ সংক্রমণ রোধ করে। ব্রণের ফলে তৈরি হওয়া দাগছোপও নিমেষে তুলতে সাহায্য করে রসুন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ব্রণ তাড়াতে রসুনের কিছু ব্যবহার সম্পর্কে-

রসুন ও গোলাপজল

গোলাপজল ও রসুনে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে জোট বাঁধলে নিমেষে দূর হবে ব্রণ। রসুন থেঁতো করে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ব্রণে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

রসুন ও দই

রসুন থেঁতো করে তাতে দুই টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রসুন ও দই একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের উন্মুক্ত গর্তগুলো ভরাট করে।

রসুন ও অ্যালোভেরা

রসুন ও অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। তিন-চারটি রসুন থেঁতো করে এর সঙ্গে অ্যালোভেরা ও অল্প জল মিশিয়ে ব্রণের উপর এবং আশেপাশে লাগান। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।

তবে আপনার ত্বক যদি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয় তাহলে রসুন ব্যবহারে সর্তক থাকুন। সরাসরি মুখের ত্বকে রসুন ব্যবহারের আগে হাতে এক বার রসুন ঘষে নিন। যদি জ্বালা ভাব হয় তাহলে মুখের ত্বকে রসুন ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy