গরম খাবার খেয়ে জিহ্বা পুড়েছে? অসহ্য জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে এই ৫টি ঘরোয়া উপায় আপনার তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেবে!

অসাবধানতাবশত গরম খাবার বা পানীয় পান করতে গিয়ে জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। এমন অবস্থায় জিহ্বায় তীব্র জ্বালাপোড়া শুরু হয়, কিছু খাওয়া তো দূরে থাক, কথা বলাও কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যথা, খড়খড়ে ভাব এবং অস্বস্তি সারাক্ষণ লেগেই থাকে। কিন্তু দুশ্চিন্তা করবেন না! যদি জিহ্বা পুড়ে যায়, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এই অসহ্য কষ্ট থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

পুড়ে যাওয়া জিহ্বার কারণে মুখে শুকনো ভাব, জলশূন্যতা, এমনকি মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁত ক্ষয়ের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই দ্রুত আরাম পেতে কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে ৫টি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি:

১. বরফ: তাৎক্ষণিক শীতলতার জন্য:
পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে বরফের টুকরো খুবই কার্যকর। একটি বরফের টুকরো সরাসরি জিহ্বার পোড়া অংশে আলতো করে লাগান। বরফ সহ্য করতে না পারলে, মুখে ঠান্ডা জল নিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। কয়েকবার করলেই দেখবেন জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে গেছে এবং আপনি মুখে আরাম অনুভব করছেন।

২. মধু: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সুরক্ষা:
মধুতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহরোধী উপাদান। জিহ্বা পুড়ে গেলে সামান্য মধু পোড়া জায়গায় লাগান। এটি শুধু জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ কমাতেই সাহায্য করবে না, বরং পরবর্তী সময়ে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও প্রতিহত করবে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাবে।

৩. দই/ঠান্ডা খাবার: দ্রুত শীতলতার পরশ:
পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে দই বা অন্য কোনো ঠাণ্ডা দুগ্ধজাত পণ্য খুবই উপকারী। এটি তাৎক্ষণিকভাবে শীতলতা প্রদান করে এবং জ্বালাপোড়া কমায়। সামান্য ঠাণ্ডা দই মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন, দেখবেন দ্রুত স্বস্তি পাচ্ছেন। আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা জলীয় পদার্থও এই সময়ে আরাম দিতে পারে।

৪. ঠান্ডা জল দিয়ে কুলকুচি:
জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমানোর একটি সহজ এবং কার্যকর উপায় হলো বারবার ঠান্ডা জল মুখে নিয়ে কুলকুচি করা। কিছুক্ষণ পর পর এটি করলে পোড়া অংশের তাপ কমে আসে এবং জ্বালাপোড়া থেকে দ্রুত আরাম মেলে।

৫. অ্যালোভেরা: প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী:
অ্যালোভেরা তার শীতল এবং ব্যথা উপশমকারী গুণের জন্য পরিচিত। অ্যালোভেরা গাছের সতেজ জেল বের করে মুখের মধ্যে পোড়া অংশে লাগান এবং প্রায় ২৫ মিনিট রেখে দিন। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা জ্বালাপোড়া কমানোর পাশাপাশি একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব আনবে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
যদি উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পরেও ব্যথা না কমে, জ্বালাপোড়া তীব্র থাকে, বা ফোস্কা পড়ে যায়, তবে দেরি না করে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জিহ্বার পুড়ে যাওয়া যদি গুরুতর হয়, তবে সে ক্ষেত্রে পেশাদার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। গরম খাবার খাওয়ার সময় সবসময় সতর্ক থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy