নারীর সৌন্দর্যের একটি বড় দিক হলো স্তনের গঠন। স্তনের সুন্দর গঠন প্রত্যেক মহিলারই শারীরিক সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু স্তনের আকার যদি ঠিকঠাক না হয়, তাহলে তো সৌন্দর্যে বাধা আসবেই। স্তনের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে, তা শুধু যে দৃষ্টিগত দিক দিয়ে অস্বস্তি তৈরি করে তা নয়, একইসঙ্গে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়, পছন্দসই পোশাকও পরা যায় না। জোরে হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর মতো নানা ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ করার সময়েও বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে স্তনের আকার যথেষ্ট পরিমাণেই কমানো যেতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি, যা প্রাকৃতিকভাবে স্তনের আকার কমাতে সাহায্য করতে পারে:
১. ফ্ল্যাক্সসিডের জল পান করুন
ফ্ল্যাক্সসিড স্তনের আকার কমাতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাক্সসিডে ইস্ট্রোজেন-হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোন স্তনের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ব্যবহার পদ্ধতি: এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিড পাউডার মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন একবার করে এই মিশ্রণ খেলে প্রাকৃতিক উপায়ে কমতে পারে স্তনের মাপ।
২. গ্রিন টি পান করুন
ভারী স্তনের পিছনে ওজন বৃদ্ধিও সবচেয়ে সাধারণ কারণ। আর, গ্রিন টি শরীরের ওজন কমাতে সুপরিচিত। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেটাবলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: তাই স্তনের আকার কমাতে আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি রাখুন। দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।
৩. মেথি বীজের পেস্ট লাগান
স্তনের আকার কমানোর আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হল মেথির জল পান করা এবং মেথির পেস্ট ব্যবহার করা। মেথি স্তন ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে বলে মনে করা হয় এবং স্তনের দৃঢ়তা উন্নত করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: তিন টেবিল চামচ মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে মেথি বীজ বেটে সেই পেস্টটি আপনার স্তনে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. লেবু জল পান করুন
লেবু শরীরের মেদ কমাতে সুপরিচিত। নিয়মিত লেবু জল পান করলে মেদ ঝরে এবং স্তনের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে ১টি লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। আপনি চাইলে এতে মধুও মেশাতে পারেন।
৫. প্রচুর জল পান করুন
শরীর ডিহাইড্রেট হলে সারা দেহে চর্বি আরও দ্রুত জমা হতে থাকে। তবে পর্যাপ্ত জল পান করলে এবং হাইড্রেট থাকলে শরীরে চর্বি জমা হওয়া রোধ হয় এবং স্তনের আকার বাড়ে না।
ব্যবহার পদ্ধতি: প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতেও সহায়ক।
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে স্তনের আকার কমাতে ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। তবে কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে বা কোনো নতুন পদ্ধতি শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
