শখ করে কেনা পোশাকগুলোর কোনোটাতেই যেন আপনাকে মানাচ্ছে না। কারণটা শুধুই চেহারা। যে পোশাকই পরেন না কেন, সবার আগে চোখে পড়ে আপনার পেটের মেদ (Belly Fat)। সুন্দর চেহারা না হলে কোনো পোশাকই ঠিকমতো মানায় না। আর এই সুন্দর চেহারা পেতে চলে জোর কসরত। খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে পছন্দের খাবার, চলে এক্সারসাইজ। তা সত্ত্বেও অনেকের ওজন কমে না। কিন্তু, সকলের ক্ষেত্রে এই সমীকরণ খাটে না। সারাদিন এতটাই ব্যস্ততার মধ্যে কাটে যে এক্সারসাইজ করার সময় মেলে না। এবার ওজন, বিশেষ করে পেটের মেদ কমাতে সহজ কয়েকটি জিনিস মেনে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় কয়েকটি ছোট ছোট পরিবর্তন আনলে কয়েক দিনেই ফল পাবেন। জেনে নিন পেটের মেদ কমাতে কী করবেন।
১. চিনি বিহীন ও কম চর্বিযুক্ত খাবার
ওজন কমাতে কিংবা বেলি ফ্যাট কমাতে সবার আগে এই পরিবর্তন আনুন খাদ্যতালিকায়। বিশেষ করে চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। আমরা সকলেই দিনে ২ থেকে ৩ বার চা খাই। এই চায়ে যে চিনি থাকে, তা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক এবং ওজন বাড়ায়। সঙ্গে কোল্ড ড্রিংক্স, চিপস, চকোলেট ও মিষ্টি খাবেন না। টানা তিন মাস এই নিয়ম মেনে চলুন, নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন।
২. ডিমের কুসুম পরিহার করুন
রোজ পাউরুটি আর ডিম সেদ্ধ অধিকাংশেরই ব্রেকফাস্ট মেনু। ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডিমে থাকা প্রোটিন শরীরে পুষ্টি জোগায়। কিন্তু, ডিমের কুসুম খাওয়া বন্ধ করুন। এর থেকে ফ্যাট বাড়ে। ডিমের কুসুম যতটা পারবেন কম খান বা এড়িয়ে চলুন।
৩. ঘুমের সময় ও হজমে মনোযোগ দিন
ভুলেও ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার পর হাঁটুন। অনেকেই খেয়ে সোজা ঘুমাতে চলে যান। এতে সহজে খাবার হজম হয় না, সঙ্গে ওজন বাড়ে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ঘুমানোর সময় বদল করুন। খাবার পর অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এবং মেদ জমার সম্ভাবনা কমাবে।
৪. ভাজাভুজি ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
ভাজাভুজি খাবার ও মদ্যপান করলে ওজন বৃদ্ধি হয়। যতটা সম্ভব ভাজাভুজি ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে মদ্যপান বন্ধ করুন। এতে ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই এই অভ্যাস বদল করলে সহজে পেটের মেদ কমবে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।