ভালো নেতা তিনিই, যিনি তার কথা ও কাজ দিয়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করেন। একজন বস কীভাবে তার কর্মীদের নির্দেশ করেন তা দেখে অনুমান করা যায় তিনি বস হিসেবে কতটা দক্ষ। কেউ কেউ বস হিসেবে খুব বেশি সহায়ক ও অনুপ্রেরণাদায়ক হন না। তারা হয়তো এমন কিছু কথা বলেন যেগুলো একজন কর্মীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মনোবিদদের মতে, বসের এই কথাগুলো কর্মীদের মনোবল কমিয়ে দিতে পারে, করতে পারে হতাশ-
‘আমি এটা বুঝতে পারি কিন্তু…’
যদি আপনার বস সবসময় সব কথার মাঝে একটি ‘কিন্তু’ যোগ করেন, এর মানে হলো তিনি সত্যিই আপনাকে শুনতে বা বুঝতে ইচ্ছুক নন। তার কথায় এটাই স্পষ্ট যে, তিনি আপনার প্রস্তাবটি বৈধ বা উপস্থাপনযোগ্য মনে করছেন না। কর্মীর সব ধারণা কিংবা প্রস্তাবের সঙ্গে বস একমত হবেন, এমন কোনো কথা নেই। তবে তিনি যদি তার আপত্তির একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা কর্মীকে না দেন, তাহলে সেটি বেশ হতাশাজনক। বসের এ ধরনের আচরণ কর্মীর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
‘পাঁচ মিনিটেই কাজটা শেষ করো’
সময়ের কাঁটা ধরে সৃজনশীলতা বিকাশ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনার বস যদি আপনাকে কোনো কাজের জন্য খুব অল্প সময় বেঁধে দেন এবং তিনি মনে করেন যে কাজটির জন্য অল্প সময়ের প্রয়োজন হবে, তাহলে সেটি হতে পারে হতাশাজনক। কারণ তিনি সম্ভবত আপনাকে এমন কিছু করতে বলছেন যেটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। জরুরি কিছু হলে তিনি নিজেই সেটি করতে পারতেন। অথবা তিনি আপনার সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করতে চাইছেন না।
‘চুপ থাকো’
যখন কেউ, বিশেষ করে আপনার বস বলেন, ‘চুপ থাকো’, তখন সেটি খুব মন্দ এবং বিরক্তিকর শোনাতে পারে। কর্মীকে শান্ত করার জন্য বস এমনটা বলতে পারেন, তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে কর্মীকে ধমকের সুরে চুপ করিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। একজন ভালো বস অবশ্যই কর্মীকে বোঝানোর জন্য আরও ভালো উপায় খুঁজে পাবেন।
‘অ্যাট দ্য এন্ড অব দ্য ডে…’
যখন একজন বস এটি বলেন, তখন এটি বোঝায় যে তিনি বলছেন, দিনের শেষে তিনি যা বলেন তাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ধরনের আচরণ বসের অনমনীয় স্বভাবের প্রকাশ করে। সেইসঙ্গে এটিও বোঝায় যে, তিনি নতুন ও সৃজনশীল ধারণা শুনতে, বুঝতে বা সম্মত হতে ইচ্ছুক নন। এটি এমন কর্মীর জন্য খুব হতাশাজনক হতে পারে যিনি তার আরও দক্ষতা বাড়াতে এবং শিখতে চান।