শীতে ছোট বড় সবার ত্বকেই কোনো না কোনো সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় কোমল পা-ও হয়ে পড়ে খসখসে। বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ভুগেন অনেকেই। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এতে পায়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।
এমন পরিস্থিতিতে নানা ধরনের ক্রিম, ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু তাতে সব সময় যথেষ্ট কাজ হয় না। ফাটা পায়ের ত্বক মসৃণ করা যথেষ্ট কঠিন কাজ।
সেক্ষেত্রে একটু অন্যভাবে ফাটা গোড়ালির যত্ন নেয়া যায়। প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজই আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে। নিয়ম মেনে যত্ন নিতে পারলেই এই শীতেও আপনার পা থাকবে পরিচ্ছন্ন ও কোমল। সেজন্য খুব বেশি সময়ও লাগবে না। মিনিট দুয়েকের কিছু কাজই যথেষ্ট। চলুন জেনে নেয়া যাক-
স্নানের পর পায়ের যত্ন
স্নানের পর পায়ের যত্নের দিকেও মন দিতে হবে। প্রতিদিন স্নানের পর পায়ে অবশ্যই ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নেবেন। আবার বাইরে বের হওয়ার সময় পা ঢাকা জুতা পরার আগে ভালোভাবে ক্রিম মেখে মোজা পরে নিতে হবে। এতে ভালো থাকবে পা।
বাইরে বের হওয়ার আগে
পা ফাটার সমস্যা খুব বেশি হলে বাইরে বের হওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মোজা ও পা ঢাকা জুতা পরে বের হতে হবে। এতে পা ফাটার ভয় অনেকটা কমবে।
কোমল হবে পা
প্রতি সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরার পর একটি কাজ করতে হবে। বিশ্রাম নেয়ার সময় হালকা গরম জলে শ্যাম্পু গুলিয়ে পা দু’খানা ভিজিয়ে রাখতে হবে মিনিট বিশেক। এই সময়ে আপনাকে আলাদা কোনো যত্ন করতে হবে না। হয়তো টিভি দেখছেন বা গল্পের বই পড়ছেন, একটি বোলে শ্যাম্পু মেশানো জল নিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখলেই হবে। এতে আলাদা করে সময় নষ্ট হবে না। এরপর পা তুলে ঝামাপাথর দিয়ে রুক্ষ অংশ ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ধুয়ে ক্রিম মেখে মোজা পরে নিন। ঘুমের আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না।
মৃত কোষ পরিষ্কার
পায়ের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে সমস্যা। কারণ এগুলো জমতে থাকলে একটা সময় শক্ত খোলসের মতো হয়ে যাবে। তখন তা বিদায় করা মুুশকিল হয়ে যাবে। সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন স্ক্রাব। চালের গুঁড়া, মধু, লেবুর রস, দুধের সর দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করে সেটি পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে নিন। এরপর ধুয়ে ক্রিম লাগিয়ে নিন।
অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার
প্রতিবার পা ধোওয়ার পর অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পা ফাটার ভয় কমবে। সেইসঙ্গে পা হবে কোমল।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার
পা ভালো রাখতে সাহায্যকারী আরেকটি উপাদান হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সেজন্য কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তেলটুকু ফুটো করে নিন। এরপর সেই তেল পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে মেখে মোজা পরে নিন। এতে পা তো ফাটবেই না, সেইসঙ্গে থাকবে নরমও