প্রথম ব্লকবাস্টারের পরেই কেরিয়ারে নেমে আসে অন্ধকার! ফ্লপ সিনেমার সেই দশকের পর কীভাবে ফিরলেন অভিনেত্রী?

বলিউডে এমন অনেক মহিলা সুপারস্টার রয়েছেন, যাঁরা শুধু নিজেদের মেধা ও পরিশ্রমের জোরেই এই সাফল্য অর্জন করেছেন। আজ আমরা এমন একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীর কথা বলছি, যিনি একদিকে যেমন ৯০০ কোটি টাকা আয় করা সিনেমার প্রধান অভিনেত্রী, তেমনি অন্যদিকে নিজের কেরিয়ারে এমন এক খারাপ সময় দেখেছেন, যখন তাঁর একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছিল।

এখানে আমরা যার কথা বলছি, তিনি হলেন কারিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan), যার জনপ্রিয়তা আজও বজায় আছে।

কেরিয়ারের শুরু এবং ১০ ফ্লপের ধাক্কা
কারিনা কাপুর তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবি দিয়ে, যা बुरीভাবে ফ্লপ হয়েছিল। তাঁর পরের ছবি ‘মুঝসে কুছ ক্যাহনা হ্যায়’ অবশ্য সুপারহিট হয়েছিল। এরপর ‘ইয়াদেঁ’ এবং ‘অশোকা’-র মতো ছবি ফ্লপ হয়, আর ‘আজনবি’ বক্স অফিসে গড় ফল করেছিল।

২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কারিনার প্রথম ব্লকবাস্টার ছবি ছিল ‘কাভি খুশি কাভি গম’, যা তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে এক শক্তিশালী পরিচিতি এনে দেয়। কিন্তু এই বড় সাফল্যের পরেই অভিনেত্রীর কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় শুরু হয়। ‘কাভি খুশি কাভি গম’-এর পর কারিনার টানা ১০টি ছবি ফ্লপ প্রমাণিত হয়েছিল।

যে ছবিগুলি ফ্লপ ছিল
‘কাভি খুশি কাভি গম’-এর পর কারিনার যে ১০টি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

মুঝসে শাদি করোগি

জিনা সির্ফ মেরে লিয়ে

তালাশ

খুশি

ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ

এলওসি কারগিল (LOC Kargil)

চামেলি

যুবা

দেব

ফিদা

এয়তরাজ

কারিনা কাপুরের এই ফ্লপের ধারাকে থামিয়েছিল ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মাল্টিস্টারার ছবি ‘হালচাল’, যেখানে তিনি অক্ষয় খান্নার বিপরীতে কাজ করেছিলেন।

৯০০ কোটির সুপারস্টার
তবে এই খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার পর কারিনা আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাননি। তিনি তাঁর কেরিয়ারে ‘যব উই মেট’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘বডিগার্ড’, ‘সিংঘম রিটার্নস’, ‘ভীরে দি ওয়েডিং’ এবং ‘গুড নিউজ’-এর মতো অনেক দুর্দান্ত সিনেমা উপহার দিয়েছেন।

কারিনা কাপুরের কেরিয়ারের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হলো ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বজরঙ্গী ভাইজান’। এই ছবিটি ভারতে ₹৩২০.৩৪ কোটি টাকা এবং সারা বিশ্বে ₹৯২২ কোটি টাকা আয় করে রেকর্ড গড়েছিল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy