চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দর্শন করতে এসে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার শিকার হলেন এক প্রৌঢ়া। হুগলি জেলার চন্দননগরের কুলুপুকুর এলাকায় মণ্ডপের ঠিক সামনেই একটি লরির ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে পিষ্ট হয়ে যান তিনি। মৃতার নাম দিপালী দাস (৫৮), তিনি চুঁচুড়ার মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে দিপালী দাস তাঁর স্বামী তরুণকান্তি দাসের সঙ্গে বাইকে করে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। মানকুণ্ডু আদি পালপাড়ার জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রার রুট ধরে যাওয়ার সময়, কুলুপুকুর জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির মণ্ডপের সামনে পিছন দিক থেকে আসা একটি লরি সজোরে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। এই ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়েন দিপালী দেবী এবং লরির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও তাঁর স্বামী তরুণকান্তি দাস অক্ষত আছেন।
মৃতার স্বামী তরুণকান্তি দাস জানান, “আমি স্ত্রীকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। লরিটা এসে বাইকে ধাক্কা মারল। আমরা রাস্তায় পড়ে গেলাম। এরপর আমার স্ত্রীর পিঠের উপর দিয়ে লরিটি চলে গেল।”
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুজো কমিটির সদস্য ও স্থানীয় মানুষজন ছুটে আসেন। চন্দননগর থানার পুলিশ এসে দিপালী দেবীর দেহ উদ্ধার করে প্রথমে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘাতক লরিটি আটক করেছে পুলিশ, তবে চালকের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
কুলুপুকুর জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক পলাশ ঘোষ যান নিয়ন্ত্রণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সিসিটিভি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর ওমপ্রকাশ মাহাতো জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিটি মানকুণ্ডু আদি পালপাড়ার দিকে যাচ্ছিল এবং আগামী দিনে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় বড় গাড়ির প্রবেশ আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।