কলকাতা থেকে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোহম পাত্রের। মেদিনীপুরের আগেই হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি এক্সপ্রেস থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই মেধাবী ছাত্র। পরদিন সকালে কংসাবতী নদীর জলে ভেসে ওঠে তাঁর নিথর দেহ।
কী ঘটেছিল ট্রেনে?
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সোহম (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র) তাঁর মায়ের সঙ্গে হাওড়া থেকে ট্রেনে করে বাঁকুড়ার দিকে ফিরছিলেন। ট্রেনটি মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেন যখন গতি কমাচ্ছিল, সেই সময় সোহমের মা শৌচালয়ে যান। ফিরে এসে দেখেন, সোহম নিজের সিটে নেই। এরপর তিনি সহযাত্রীদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানান, কিছুক্ষণ আগে সোহমকে ট্রেনের দরজার দিকে যেতে দেখা গিয়েছিল।
নিখোঁজ ডায়েরি ও উদ্ধার
কোথাও খুঁজে না পেয়ে মেদিনীপুর স্টেশনে নেমে দ্রুত নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর মা। খবর পেয়ে রাতেই বাঁকুড়া থেকে ছুটে আসেন সোহমের বাবা। রেল পুলিশ এবং স্থানীয় থানাতেও খোঁজ শুরু হয়। তবে, সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন সকালে কংসাবতী নদীর জলে একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশ তা উদ্ধার করে। পরে সোহমের বাবা-মা দেহটি শনাক্ত করেন।
রহস্যের জট:
এই ঘটনাকে ঘিরে এখন নানা প্রশ্ন উঠছে—চলন্ত ট্রেন থেকে পা পিছলে পড়ে গেলেন সোহম? নাকি নিজেই ঝাঁপ দিলেন? এর পিছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সোহমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
বাড়ি ফেরার পথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাঁকুড়ার এই ছাত্রের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। পুলিশি তদন্তের মাধ্যমেই এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।