মুর্শিদাবাদের কান্দিতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের অভিযোগে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির ভাই সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দু’জনের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হলেও, তৃণমূল নেতার ভাইয়ের জন্য কোনও হেফাজতের আবেদন জানায়নি পুলিশ, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে।
কারা গ্রেফতার হলেন? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা হলেন:
কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি ইসারুলের ভাই আশরাফুল শেখ।
এছাড়াও ধৃত হলেন কুদ্দুস শেখ এবং এনামুল শেখ।
অভিযুক্ত তিনজনেরই বাড়ি কান্দি থানা এলাকায়।
হেফাজত নিয়ে প্রশ্ন: পুলিশ কুদ্দুস শেখ ও এনামুল শেখের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল, যার ভিত্তিতে বিচারক দু’জনের দুই দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু একই অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতির ভাই আশরাফুল শেখের জন্য পুলিশ কোনো হেফাজতের আবেদন জানায়নি।
অভিযোগ কী ছিল? মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তরা কান্দি থানা এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। পুলিশের সন্দেহ, তাঁরা এলাকায় অশান্তি তৈরির ছক কষে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছিলেন। এরপরই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
কান্দি আদালতের আইনজীবী বিকাশ দে জানিয়েছেন, পুলিশ এই তিনজনের কাছ থেকে গুলি এবং একটি বন্দুক উদ্ধার করেছিল।
কেন এই ‘বিশেষ ছাড়’? একই অভিযোগে ধৃত আশরাফুলকে কেন পুলিশ হেফাজতে চাইল না, এই প্রশ্ন উঠলে আইনজীবী বিকাশ দে জানান, “তৃণমূল নেতার ভাইকে হেফাজতে না চাওয়ার কারণ হলো, ওর রেকর্ডে পূর্বের কোনো কিছু ছিল না। বাকিটা পুলিশ আর নেতারা বলতে পারবে কেন নেওয়া হল না।”
যদিও সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীদের প্রশ্ন, আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের মতো গুরুতর অভিযোগে একই সঙ্গে তিনজনকে গ্রেফতার করার পরও, কোনও ‘জাদুবলে’ তৃণমূল নেতার ভাইয়ের প্রতি নরম হল কান্দি থানার পুলিশ? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।