সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে আসা তথ্য রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো! বিজ্ঞানীরা বলছেন, মোটা মানুষকে আলিঙ্গন করলে নাকি ডিপ্রেশন দূর হয়ে যায়। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে লক্ষাধিক মানুষের উপর চালানো এই গবেষণাটি সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’-তে প্রকাশিত হয়েছে।
সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই অভূতপূর্ব তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তাদের দাবি, রোগা বা হালকা গড়নের মানুষের তুলনায় তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এর ফলে ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন মানসিক রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, একজন মোটা ব্যক্তিকে কিছুক্ষণ ধরে আলিঙ্গন করার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে এক বিশেষ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই তরঙ্গ মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে সহায়ক। তাই সুখী জীবন যাপনের জন্য মোটা নারীদের বিবাহ করা উচিত বলেও মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
গবেষকরা তাদের গবেষণায় আরও উল্লেখ করেছেন যে, রোগা স্ত্রীদের তুলনায় মোটা স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের দশ গুণ বেশি সুখী রাখেন। এছাড়াও, তারা তাদের সঙ্গীর চাহিদা অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারেন।
এই গবেষণাটি নিঃসন্দেহে সামাজিক আলোচনা ও ব্যক্তিগত পছন্দের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। যেখানে শারীরিক গঠন নিয়ে নানা ধরনের ছুঁৎমার্গ প্রচলিত, সেখানে এই গবেষণা মোটা মানুষদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সহায়ক হতে পারে। তবে, এই গবেষণার ফলাফল কতটা সার্বজনীনভাবে প্রযোজ্য এবং এর পেছনের জৈবিক প্রক্রিয়া কী, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধানের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, এই গবেষণার ভিত্তিতে কোনো প্রকার বৈষম্য বা সামাজিক চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ এবং সম্পর্ক তার নিজস্ব বিষয়। তবে, এই গবেষণা যদি সত্যিই ডিপ্রেশন কমাতে সহায়ক হয়, তবে আলিঙ্গনের মতো একটি স্বাভাবিক এবং সহজ প্রক্রিয়া মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার বিষয়, এই যুগান্তকারী গবেষণা ভবিষ্যতে মানুষের জীবন ও সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলে।