আর মাত্র ক’টা দিন পরেই শুরু হচ্ছে নতুন মাস, জুলাই। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, কারণ সৌরজগতের প্রায় প্রতিটি প্রধান গ্রহই তাদের অবস্থান এবং গতি পরিবর্তন করবে। গ্রহের এই ঘন ঘন পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব পড়বে প্রতিটি রাশির উপর, যা মানবজীবনে শুভ-অশুভ ফল বয়ে আনবে।
জ্যোতিষীদের মতে, জুলাই মাসের শুরুতেই ৯ জুলাই দেবগুরু বৃহস্পতি মিথুন রাশিতে উদিত হবেন। এরপর ১৩ জুলাই কর্মফলদাতা শনি মীন রাশিতে বক্রী (উল্টো দিকে চাল) হবে। সূর্যের রাশিতে পরিবর্তন আসবে ১৬ জুলাই, যখন তিনি কর্কট রাশিতে প্রবেশ করবেন। এর ঠিক দু’দিন পর, ১৮ জুলাই, বুধও কর্কট রাশিতে বক্রী হবে, তবে ২৪ জুলাই বুধ আবার কর্কট রাশিতেই মার্গী (সরাসরি চাল) হবে। মাসের শেষের দিকে ২৬ জুলাই শুক্র মিথুন রাশিতে প্রবেশ করবে এবং ২৮ জুলাই মঙ্গল কন্যা রাশিতে প্রবেশ করবে।
গ্রহের এই ধারাবাহিক গতি পরিবর্তন কিছু রাশির জন্য বিশেষভাবে শুভ ফল নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রাশির ভাগ্য খুলতে চলেছে এই জুলাই মাসে:
মেষ রাশি: জুলাই মাসে গ্রহের এই পরিবর্তনের সুবাদে মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কর্মক্ষেত্রে বা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আপনারা ভালো পারফর্ম করতে পারবেন। সমাজে আপনার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, যা আপনার ভাগ্যকে আরও উজ্জ্বল করবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং উন্নতির যোগ রয়েছে।
কন্যা রাশি: কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির সন্ধানে রয়েছেন, তারা এই মাসে ভালো সুযোগ পেতে পারেন। পেশাগত জীবনে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সুযোগ আসবে। ব্যবসায়ীরাও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে লাভবান হবেন, যা তাদের আর্থিক পরিস্থিতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।
বৃশ্চিক রাশি: বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য জুলাই মাস অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক হতে চলেছে। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে মধুর সময় কাটাবেন। চারপাশের পরিবেশ ইতিবাচক থাকবে, যা আপনার মানসিক শান্তি বৃদ্ধি করবে। সম্পত্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি কাজেই আপনি উপকৃত হবেন এবং ভবিষ্যতে এর সুদূরপ্রসারী সুবিধা ভোগ করবেন।
এই গ্রহগত পরিবর্তনগুলি প্রতিটি রাশির উপরই কম-বেশি প্রভাব ফেলবে। তবে উল্লিখিত এই তিন রাশির জন্য জুলাই মাসটি বিশেষভাবে সৌভাগ্যময় হতে চলেছে বলে মনে করছেন জ্যোতিষবিদরা।