আইএসএল (ISL) ও আই লিগ (I-League) শুরু নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপেও কাটল না জট। বুধবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য আইএসএল, আই লিগ ক্লাব এবং এআইএফএফ (AIFF) সহ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করলেও লিগ শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো দিশা দেখাতে পারেননি। তবে তিনি ক্লাবগুলোকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনারা প্রস্তুতি শুরু করুন। খেলা হবে। লিগ বন্ধ হবে না।’
কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক লিগ হবে বলে ক্লাবগুলোকে দল গোছানোর কাজ শুরু করতে বললেও, লিগ চালাবে কে—এই প্রশ্নটি এখনও অমীমাংসিত। ক্রীড়ামন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্রীড়া সচিব দিনভর দফায় দফায় আলোচনা করলেও, লিগ শুরুর কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে লিগের মূল কুশীলব অর্থাৎ ফুটবলারদের ডাকা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জটের মূলে কী?
লিগ শুরু করতে সবচেয়ে বড় বাধা তৈরি হয়েছে নিয়মে (আর্টিকেলে)। লিগের ১৫ বছরের কর্পোরেট পার্টনার এফএসডিএল (FSDL) সহ নতুন আগ্রহী সংস্থাগুলি (যেমন ‘জি’ স্পোর্টস, ফ্যান কোড) লিগ শুরুর জন্য এআইএফএফের চারটি আর্টিকেল পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে।
-
যে আর্টিকেলগুলিতে আপত্তি: ৬৩.১, ৬৩.৩, ২০.৯ (এম) এবং ১.২১।
-
আপত্তির কারণ: কর্পোরেট পার্টনাররা বছরে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও লিগ প্রশাসনে তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। এছাড়া লিগে প্রমোশন-ডিমোশন পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করার এবং লিগের সব স্বত্ব এআইএফএফের হাতে রাখার নিয়মেও কর্পোরেট সংস্থাগুলির আপত্তি রয়েছে। কোনো সংস্থাই এই শর্তে টাকা ঢালতে রাজি নয়।
আই লিগের ক্লাবগুলি একই সংস্থার অধীনে আইএসএল ও আই লিগ চাইলেও, তাতে এফএসডিএল রাজি নয়। সব মিলিয়ে আইএসএল নিয়ে জট কমার কোনো ইঙ্গিত নেই। ফেডারেশন কর্তারাও আশাবাদী নন। ফলে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও লিগ শুরু হবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে জট কাটাতে কেন্দ্র হয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ম বদল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানাতে পারে।