সুস্থ থাকতে ঘুমের বিকল্প নেই। রাতে ভালো ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, শরীরে ক্লান্তি অনুভব হয়, অবসাদ, ঘুম ঘুম ভাব, কাজে অনীহা ইত্যাদি দেখা দেয়। অনেক সময় নানা রকম চিন্তা ভাবনার জন্য রাতে ঘুম ভালো হয়না। এছাড়াও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে রাতে ভালো ঘুম না হওয়ার সম্ভাবণা বেশি-
১. মাংস খেলে শরীরের পি এম আর রেট অনেক বেড়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। তাই কখনই রাতে রেড মিট খাওয়া যাবে না।
২. শাক সবজি: শাক সবজি প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর ফাইবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। এর ফলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। তাই রাতে সবুজ শাক সবজি না খাওয়াই ভালো।
৩. ভাজা খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে মনোসোডিয়াম গ্লুকোসাইড থাকে। যার জন্য আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই চিপস জাতীয় খাবার খেয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়।
৪. অনেক সময় বাচ্চারা রাতে পাস্তা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু পাস্তা হলো খুবই ফ্যাটি ও ভারী খাবার। যা শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয় ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই রাতে পাস্তা খেয়ে ঘুমানো যাবে না।
৫. আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও সুগার থাকে। ফলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই রাতে ঘুমের আগে কোন ভাবেই আইসক্রিম খাওয়া যাবে না।
৬. পিজ্জাও পাস্তার মতোই ফ্যাটি ও ভারী খাবার। এটা খেলে রাতের বেলা হার্ট বিট বেড়ে যেতে পারে। ফলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে। তাই রাতে পিজ্জা না খাওয়াই ভালো।
৭. কনফ্লেক্স দুধের মধ্যে দিয়ে সকালে খাওয়া খুবই ভালো। কিন্তু রাতে খাওয়া ঠিক নয়। রাতে কনফ্লেক্স দিয়ে দুধ খেলে ঘুম ভালো হবে না।
৮. চকলেটে ক্যাফেইন থাকে তা আমরা সকলেই জানি। এটা আমাদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে চকলেট খাওয়া যাবে না।
৯. অ্যালকোহল এমনিতে খাওয়া উচিত নয়। আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনই খাওয়া যাবে না। কারণ অ্যালকোহল খেলে পি এম আর বেড়ে যাবে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ও ঘুমের ব্যঘাত ঘটবে।
১০. অনেকেরই মরিচ চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। মরিচ কার্বো হাইড্রেড বৃদ্ধি করে ও শরীরে ক্যালরির পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। তাই রাতে মরিচ চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয়।