গাড়িতে উঠলেই অনেকে ঘুমিয়ে পড়েন, এর আসল কারণ জানেন কি?

বাসে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন, এসময় তো আপনার ঘুমের সময় না, তবু ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। এমনটা বেশিরভাগের সঙ্গেই হয়, তাই না? বাসে চড়লে বমি করা যেমন সাধারণ ঘটনা, তেমনই ঘুম পাওয়াও ঘুম সাধারণ বলেই আমাদের কাছে মনে হয়। আরামের ঘুম হয় না হয়তো, ছাড়া ছাড়া ঘুম। কিন্তু ঘুম আসবেই। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কেন বাসে চড়লে ঘুম পায়? আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক বাসে চড়লে ঘুম পাওয়ার কারণ-

ক্লান্তি থেকে ঘুম আসতে পারে
বাসে ওঠার পর ঘুম আসার কারণটা কি তাহলে ক্লান্তজনিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে হাই ওঠা শুরু হয়। যে কারণে আমাদের পেশি তখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে প্রয়োজন পড়ে ঘুমের। একারণেই খেয়াল করবেন, বাস চলতে শুরু করার কিছুক্ষণ পর থেকেই আমাদের হাই উঠতে শুরু করে। এরপর একটা সময়ে আমরা ঘুমের প্রয়োজন অনুভব করি। কেউ কেউ হয়তো ঘুমিয়েও যাই।

দুলুনির কারণে
শিশুদের দেখবেন, ঘুম পাড়ানোর সময় দোলানো হয়। দোলনা কিংবা পায়ের উপর নিয়ে দোলানোর কারণে তারা দ্রুত ঘুুমিয়ে পড়ে। এর কারণ হলো, দুলুনির সঙ্গে আমাদের ঘুমের এক ধরনের সংযোগ রয়েছে। বাসে ওঠার পর গাড়ির দুলুনি আমাদের শরীরকে আরাম দেয়। আর সেই সামান্য আরামেই আমাদের শরীর ঘুমিয়ে পড়তে চায়।

ঘুমের ঘাটতি পূরণে
ব্যস্ত জীবনে আমাদের বেশিরভাগেরই ঘুম ঠিকভাবে হয় না। শরীরে ঠিকই ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়। যখন আপনি বাসে চড়ে বসেন তারপর কিছুটা সময়ের জন্য হলেও অবসর। আর সেই সুযোগেই শরীর কিছুটা বিশ্রাম করে নিতে চায়। ফলে ক্রমাগত ঘুম পেতে থাকে। ট্রেনে-বাসে তাই সহজে ঘুম চলে আসে।

দিনে কতটুকু ঘুম প্রয়োজন?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর অভাব হলে শরীর ক্লান্ত থাকে। আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন যদি ঘুম ঠিকভাবে না হয়। বাসে চড়লে অনেক সময় মানসিক শান্তিও কাজ করে। বিশেষ করে যদি আমরা আপনজনদের কাছে যাই। সে কারণেও ঘুমিয়ে পড়তে পারি। তবে আপনার যদি সারাক্ষণই ক্লান্ত লাগে এবং ঘুম চলে আসে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy