দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের জলখাবার। একটি পুষ্টিকর প্রাতরাশ শুধু দিনের শুরুটাই ভালোভাবে করে না, বরং সারাদিনের শারীরিক ও মানসিক কার্যকলাপকেও সঠিক ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর সকালের জলখাবার আপনাকে সক্রিয় ও উদ্যমী রাখতে অপরিহার্য।
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের প্রাতরাশে কী খাওয়া উচিত তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাদ ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ডিম সহজেই আপনার সকালের খাদ্যতালিকায় স্থান পেতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও ডিম অত্যন্ত উপকারী।
সব বয়সের মানুষের জন্যই সকালের জলখাবারে ডিম থাকা জরুরি। ডিম এমন একটি বহুমুখী খাবার যা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। আপনি সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন, আবার ‘স্ক্র্যাম্বেল এগ’-ও একটি সুস্বাদু বিকল্প। তবে ডিমের স্বাস্থ্যকর গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা থেকে বিরত থাকা উচিত। অর্থাৎ, অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা ডিমের অমলেট বা স্বাদে অতুলনীয় করার জন্য অতিরিক্ত মশলার ব্যবহার সকালের খাবারে এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কায় অনেকেই ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটি খান। ডিমের কুসুমে ফ্যাট থাকে ঠিকই, তবে সেই ফ্যাট শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। এমনকি, ডিমের কুসুম কোলেস্টেরল এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে, যা চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
তাই, যদি আপনি ওজন কমাতে চান এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চান, তবে আপনার সকালের জলখাবারে ডিম যোগ করা একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত হতে পারে। এটি আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে, যা দিনের বেলা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমিয়ে আনবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।