বিয়ের আগে কেউ কেউ হয়তো যৌন মিলনে মিলিত হন। তবে বিয়ের পর সবাই যৌন মিলনে মিলিত হন৷ কিন্তু অধিকাংশই জানেন না যৌন মিলনের ফলে কী কী উপকার হয়ে থাকে৷
ভালো ব্যায়াম
স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়৷ তার ফলে যৌন মিলন একপ্রকার ব্যায়ামের কাজ করে৷ পাশাপাশি শারীরিক মিলনের ফলে শরীর থেকে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয় বলে গবেষকরা জানিয়েছে৷ গবেষকরা জানিয়েছে, এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে বা আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে শারীরিক মিলন৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে। এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে৷
ব্যাথা থেকে মুক্তি
গনেষণায় দেখা গেছে, যৌন মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েন্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান।
কর্ম ক্ষমতা বাড়ে
শারীরিক মিলনের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ হয়৷ যার ফলে দু’জনেরই কার্য ক্ষমতা বাড়ে৷পাশাপাশি নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে যৌবন বাড়ে বলেই মত গবেষকদের৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফূর্তি অনুভব করে। সারাদিনের কাজে এই স্ফূর্তির প্রভাব দেখা যায়। এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভালো ঘুম হয়
শারীরিক মিলনের শরীর থেকে অক্সিটসিন হরমোন রিলিজ হয়। ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে উপকার পাবেন।
ওজন কমে
যৌন মিলনের ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এর ফলে ব্যক্তির ওজন কমে। নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা হ্রাস পায়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়। অনেকে লক্ষ টাকা ব্যয় করেন ওজন কমানোর জন্য৷ এ ক্ষেত্রে তারা উপকার পাবেন।
সৌন্দর্য্য বাড়ে
শারীরিক মিলনের হরমোন নিঃসরণের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। শারীরিক মিলন কালে নারীদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে।