আপেলের খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ আপেলের খোসা রক্তের খারাপ চর্বি বা লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপেলের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং এ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একটি প্রবাদ সবসময় চলে যে, প্রতিদিন একটি আপেল খান, ডাক্তারের কাছে না যান। আপেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। আর খোসাসহ আপেল খেলে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত আঁশও। আপেলের খোসার আঁশ রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে যেভাবে-
দ্রবণীয় আঁশের ভূমিকা
আপেলের খোসায় থাকা দ্রবণীয় আঁশ, যেমন পেকটিন, অন্ত্রের ভেতর চর্বি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরল শোষণ কমিয়ে দেয় এবং দেহ থেকে তা বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।
পিত্ত অ্যাসিডের উৎপাদন বৃদ্ধি
পেকটিন লিভারকে বেশি পিত্ত অ্যাসিড তৈরি করতে উৎসাহিত করে, যা কোলেস্টেরল ভাঙার জন্য প্রয়োজন। এতে রক্তেরএলডিএল স্তর হ্রাস পায়।
হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করে
খোসার আঁশ হজম প্রক্রিয়া ধীর করে, ফলে চর্বি শোষণের গতি কমে। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব
আপেলের খোসায় পলিফেনলস নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা খারাপ চর্বিকে অক্সিডাইজ (যে উপাদান সহজেই অক্সিজেনকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে) থেকে বাধা দেয়। অক্সিডাইজ এলডিএল ধমনীতে প্লাক (বর্জ্যজাতীয়) জমার প্রধান কারণ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
আপেলের খোসার আঁশ ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিবারণ করে। এতে অতিরিক্ত চর্বি গ্রহণের প্রবণতা কমে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
না কিছুই
এ কারণে আপেল খাওয়ার সময় খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। তবে অবশ্যই তা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে যাতে কীটনাশকের প্রভাব কমে। আপেলের খোসার এই গুণাগুণ কেবলমাত্র একটি সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে কার্যকর হবে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক জীবনযাপনের সঙ্গেও এটি মিলিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।