বিয়ের পরবর্তী জীবনে পাল্টে যায় অনেক কিছুই। তখন নিজের স্বাদ আহ্লাদেও আসে পরিবর্তন। মানিয়ে নিতে হয় অনেক কিছুর সঙ্গে।
দেখা গেল, আগের মতো পেট ব্যাথা, সর্দি, কাশি, কফ নানা অসুখে ভুগেছেন। কিন্তু বিয়ের পর একজনের অসুখ আর একজনের থাকে না। সেটি হয়ে যায় দুইজনেরই। সংক্রমণ তো ঘটেই, দুশ্চিন্তাও সমানে কাজ করে দুইজনের।
সব সময় পরস্পরকে ভালোবাসবেন তা হয় না। দেখা গেল একটু আলাদা মুহূর্ত কাটাতে ইচ্ছা করছে। এটা একদমই স্বাভাবিক। অতএব এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এতে বরং নিজেকে আরও চাঙ্গা করে নেওয়া যায়।
পরস্পরকে আলিঙ্গন করে ঘুমালেও আপনার নিজের বিছানাকে আপনি মিস করতে পারেন। ইচ্ছা হবে দুই পা ছড়িয়ে ঘুমাতে।
একসঙ্গে থাকতে গেলে প্রতিদিনই পরস্পরকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন। কিছু জিনিস আপনার ভাল লাগবে আবার কিছু আপনাকে পাগল করে তুলতে পারে।
খুনসুটি একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা দাম্পত্য জীবনে। বিনোদনের মতোই সেগুলোকে নেওয়া উচিত। সিরিয়াস হওয়া উচিত হবে না কোনোভাবেই।
শারীরিক সম্পর্কই সবচেয়ে মধুর সময়। কিন্তু অনেক রাতে মনে হবে শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে টিভি দেখেই রাত কাটিয়ে দিতে।
অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে সঙ্গীকে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, তখন নিজেকেই মানিয়ে নিতে হবে বা পরিবর্তন করে নিতে হবে।
এককথায়, দাম্পত্য জীবন হচ্ছে একটি দ্বিমুখী রাস্তা। একই সময়ে দুই রাস্তাতেই হাঁটতে হয়। পরস্পরকে যেমন মানিয়ে নিতে হয় আবার নিজেকেও কিছু পরিবর্তন করে নিতে হয়।