বেশিরভাগ মানুষ এখন দিন কাটায় ব্যস্ততায়। আর অন্যান্য কাজ কীভাবে খুব কম সময়ে সেরে নেয়া যায় সেই উপায় খুঁজতে থাকেন। ঘরের কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সময়সাপেক্ষ রান্না করা।দিনের অনেকটা সময় চলে যায় রান্না-বান্না করতে। আর তাই তো দিন দিন বাড়ছে ননস্টিক পাত্রের জনপ্রিয়তা। তেল কম লাগে পাশাপাশি তাড়াতাড়ি রান্না করা যায় এসব পাত্রে। আবার পাত্রের তলায় খাবার লেগেও যায় না। কিন্তু গবেষণা বলছে, ননস্টিকের ফ্রাইং প্যান বা কড়াই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। রান্নায় এই পাত্রগুলো ব্যবহারের ফলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে। এমনকি ফুসফুস, কিডনি বিকল করে দিতে পারে।
ননস্টিক পাত্রগুলো ‘টেফলন’ দিয়ে তৈরি করা হয়। এই টেফলন হল পলিটেট্রাফ্লোরোইথিলিন (পিটিএফই)-এর কোটিং। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টেফলনের সঙ্গে পারফ্লোরোঅক্টানয়েট অ্যাসিড- পলিমার দিয়ে প্রসেস করা হয়। এটি একটি বিষাক্ত পদার্থ। এর ফলে অত্যধিক তাপে ননস্টিকের পাত্রে রান্না করলে বা পাত্রটি খুব গরম হয়ে গেলে ধোঁয়া উঠতে থাকে।
যা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে রক্তের সঙ্গে মেশে। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এখন অনেক ননস্টিক পাত্রে জেনএস্ক ব্যবহৃত হচ্ছে। এই কারণেই এখন ননস্টিক পাত্রে লেখা থাকে যে পিএফওএ-ফ্রী। তবে এটিও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে।
জেনে নিন কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে-
১. ননস্টিক পাত্রে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রায় ননস্টিক পাত্রের টেফলন কোটিং বাষ্পীভূত হয়ে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে এবং রান্নার উপাদান বা খাবারে এই গ্যাস মিশে যায়।
২. এই গ্যাস নাকে গেলে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, মাথাব্যথার মতো সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়।
৩.গবেষণায় দেখা গেছে যে, টেফলনের অত্যধিক গরম হওয়ার কারণে ফুসফুসের সমস্যাও হয়।
৪. এসব পাত্রে রান্না করলে আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রম রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৫. ননস্টিক আবরণ শরীরে টিউমার তৈরি করতে পারে।
৬. নারী পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব পাত্রে রান্না করা খাবার।