পুষ্টিবিদ যাজ্ঞসেনী আম্বলি মুখোপাধ্যায় এমন কয়েকটি সমস্যার কথা বলেছেন, যেগুলি আমরা অনেকেই না বুঝে করে ফেলছি। দেখুন তো, আপনিও সেই একই ভুলের ফাঁদে পা দিচ্ছেন কিনা?
রুটিনের বারোটা বেজে গিয়েছে কী?
যেহেতু সবাই বাড়িতেই আছেন, তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার চাপটা কম-বেশি কেউই নিচ্ছেন না আর। ফলে ঘেঁটে যাচ্ছে পুরো দিনের রুটিন। দেরিতে প্রাতরাশ খাওয়া হচ্ছে, তার পরেই ভারী লাঞ্চ। বিকেলে ভাজাভুজি চলছে দেদার, রাতের খাওয়া মিটতেও অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। এটা চালিয়ে গেলে হজমের সমস্যা, পেটের গন্ডগোল হবেই।
জল খাচ্ছেন নিয়ম করে?
অস্বীকার করে লাভ নেই, জল ঠিকমতো খাওয়া হয় না বাড়িতে থাকলে। আচমকা মনে পড়ল আর ঢকঢকিয়ে অনেকটা জল খেয়ে নিলেন, তা করলে চলবে না। সারা দিন ধরে নিয়মিত ব্যবধানে জল খেতে থাকুন।
হালকা খাবার খান
প্লিজ মনে রাখবেন যে এখন লকডাউন চলছে, পিকনিক নয়। তাই জীবনধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, স্রেফ ততটাই খান। বিলাসবহুল রান্না-খাওয়া থেকে দূরে থাকলে শরীরও ভালো থাকবে। ঝোল, পাতলা ডাল থাকা উচিত রোজের খাদ্যতালিকায়। ডালের গাঢ় অংশটা বরাদ্দ করুন বাড়ির বাচ্চাদের জন্য। তারা খুব অ্যাকটিভ, বাড়তি প্রোটিন তাদের প্রয়োজন।
ফল-সবজি যতটুকু মিলছে, অবশ্যই খান
ইমিউনিটির জন্য যতটা ভিটামিন আর মিনারেল প্রয়োজন তা ফল আর সবজি থেকেই মিলবে। তাই বাজারে তাজা আনাজ বা ফল যা মিলছে, তা খাবেন অবশ্যই।
ব্যায়াম করুন
যতটা সম্ভব হাঁটাচলা করুন। ব্যায়াম করুন, ছাতে হাঁটুন। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলো করুন। শরীর সচল না থাকলে সুস্থ থাকবে না।