ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রতিদিন স্নান করা প্রায় অপরিহার্য। তাই অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা বাইরে বেরোনোর আগে স্নান করে অভ্যস্ত। তবে স্নানের সময় কিছু ভুল কাজ বা অভ্যাস লাভের চেয়ে ত্বকের বেশি ক্ষতি করতে পারে। জেনে নিন সেই ভুল অভ্যাসগুলো সম্পর্কে:
দীর্ঘক্ষণ জলে কাটানো: অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলের মধ্যে থাকতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে এই গরমে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে জলে থাকলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
গরম জলে স্নান না করাই ভালো: প্রতিদিন গরম জল দিয়ে স্নান করলে ত্বক দ্রুত কুঁচকে যায় এবং নিজস্ব আর্দ্রতা হারিয়ে জৌলুসহীন হয়ে পড়ে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার জল দিয়ে স্নান করাই ত্বকের জন্য ভালো।
স্নানের সময় মেকআপ পরিষ্কার করবেন না: স্নানের সময় মেকআপ পরিষ্কার করলে ত্বকের উপর অযথা চাপ পড়ে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। মেকআপ থাকলে স্নানের আগেই মেকআপ রিমুভার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ফোমিং জেলের ব্যবহার: ক্ষারযুক্ত সাবান যেমন ত্বককে রুক্ষ করে, তেমনই ফোমযুক্ত শাওয়ার জেলও ত্বকের জন্য তেমন ভালো নয়। এর অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক নিজস্ব আর্দ্রতা ও তেল হারিয়ে শুষ্ক এবং জৌলুসহীন হয়ে পড়ে। তাই অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন অথবা এর বদলে ন্যাচারাল অয়েল যুক্ত সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন।
বডি স্পঞ্জ কিংবা লুফার ব্যবহার: স্নানের সময় গা পরিষ্কার করতে অনেকেই নাইলনের বডি স্পঞ্জ বা লুফা ব্যবহার করেন। এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং জোরে ঘষলে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যাও হতে পারে। বরং গা পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে বডি স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন।
হার্বাল প্রোডাক্টের ব্যবহার করুন: কড়া রাসায়নিক যুক্ত দামি প্রসাধনীর বদলে যতটা সম্ভব হার্বাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
গা জোর করে ডলে মুছবেন না: স্নান সেরে গা থেকে জল মোছার সময় অনেকেই তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে ঘষেন। এর ফলে ত্বক তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারায় এবং শুষ্ক হয়ে যায়। তাই জোরে না ঘষে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে জল মুছে নিন। এরপর বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজার বা ন্যাচারাল অয়েল ব্যবহার করলে ত্বক দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড থাকবে।
ঋতুস্রাবের সময় ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন: পিরিয়ডসের সময় ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য সন্ধক লবণ মিশিয়ে স্নান করলে গা, হাত ও পায়ের ব্যথা কমবে এবং আরাম পাবেন।