হাতের রেখার মধ্যে যেমন ব্যক্তির ভবিষ্যৎ লুকিয়ে থাকে, তেমনই হাতের আঙুলও ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়ে থাকে। শুধুমাত্র আঙুল দেখেই কিন্তু বলে দেওয়া যায় আপনি কেমন স্বভাবের, প্রেমে কতটা গভীর। ঋষি সমুদ্র এই শাস্ত্রের রচনা করেন বলে একে সমুদ্র শাস্ত্র বলা হয়। সমুদ্রশাস্ত্র অনুযায়ী, ব্যক্তির শরীরের গঠন দেখে তাঁদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। ঋষি সমুদ্র শাস্ত্র-মতে আঙুলের আকার দেখে ব্যক্তির চরিত্র, স্বভাব ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যায়।
পাতলা আঙুল: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকদের আঙুল পাতলা, তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন। তাঁরা সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকেন। অন্যের কাছ থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা করেন না তারা। ভালোভাবে সম্পর্ক পালন করতে জানেন তারা। অন্যের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে থাকেন। উন্মুক্ত বিচারধারার হন এই জাতকরা । পাশাপাশি স্বচ্ছ মনের মানুষ হন। সকলকে আনন্দিত করতে সচেষ্ট থাকেন তারা।
মোটা আঙুল: আবার মোটা ও ভরাট আঙুলের জাতকরা কাজ ও সম্পর্কের বিষয় অধিক গম্ভীর প্রকৃতির হন। তবে তারা কৃপণ হয়ে থাকেন। অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন এই জাতকরা। অপেক্ষাকৃত রাগী স্বভাবের হন তারা। সামান্য কথাতেও অনেক সময় রেগে যেতে দেখা যায় তাদের। কনিষ্ঠা ও অনামিকার দৈর্ঘ্য সমান হলে এমন জাতক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ভালো রাজনীতিজ্ঞ হন তারা।
মধ্যমা বেশি বড় হলে: যে জাতক বা জাতিকার মধ্যমা তাদের অন্যান্য আঙুল থেকে বড়, তারা অত্যন্ত সৎ হন। অত্যন্ত গভীর স্বভাবের হন তারা। একাগ্রতার সঙ্গে সমস্ত কাজ পূর্ণ করেন এঁরা। অন্যকে তোয়াক্কা করেন না এই জাতকরা। খোশমেজাজে থাকতে ভালোবাসেন।
ছোটো আঙুলের জাতক: ধীরস্থির স্বভাবের হন ছোটো আঙুলের জাতকরা। তাড়াতাড়ি কাজ মিটিয়ে তা থেকে মুক্তি পেতে তৎপর থাকেন তারা। এই অভ্যাসের কারণে খুব শিগগিরেই সমস্যার সমাধান করে নেন তারা।
নিষ্ঠুর স্বভাবের হন এবং খুব শিগগিরই রেগে যান এই জাতকরা। তবে ছোট আঙুল সুন্দর হলে সেই ব্যক্তিরা সর্বগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকেন।