রাত পোহালেই আইপিএল ফাইনাল (IPL Final)। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল প্রথম আইপিএল ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) এবং পাঞ্জাব কিংস—আইপিএলের ইতিহাসে যে দুটি দলই এখনও পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি। এই মেগা ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) এক বর্ণাঢ্য সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, যার মূল আকর্ষণ দেশের স্বনামধন্য শিল্পী শঙ্কর মহাদেবন।
শঙ্কর মহাদেবনের কণ্ঠে গাওয়া ‘সবসে আগে হোঙ্গে হিন্দুস্তানি’ গানটি দেশপ্রেমের ঝড় তুলেছিল এবং তা মানুষের মুখে মুখে ফিরত। সেই শঙ্কর মহাদেবনই আইপিএলের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন। এই অনুষ্ঠানের পরতে পরতে থাকছে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে কুর্নিশ জানানোর এক বিশেষ চিত্রনাট্য।
সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানাবে বিসিসিআই
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএলের সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানানোর মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে মাঝপথে প্রায় দশদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় আইপিএল। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশিরভাগ ম্যাচের আগে সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানানোর পালা চলছে। কখনও মাঠে নীরবতা পালন করা হচ্ছে, কখনও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে, আবার কখনও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাহবা জানিয়ে মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠছে বার্তা।
আইপিএল ফাইনালকেও ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে কুর্নিশ জানানোর মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিসিসিআই। এই অনুষ্ঠানেই শঙ্কর মহাদেবন তাঁর দুই পুত্র সিদ্ধার্থ ও শিবম মহাদেবনের সঙ্গে পারফর্ম করবেন। আরসিবি বনাম পাঞ্জাব কিংস ম্যাচের আগে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এই ত্রয়ীকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে।
শিবম মহাদেবন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “আগামীকাল ফাইনালে দেখা হচ্ছে। অসাধারণ এক সম্মান পেলাম আমরা।”
অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদযাপন
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হানায় নিরীহ পর্যটক ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পর ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করে ভারত। সেই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের সেই হানায় কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের একশোর বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এরপর পাকিস্তান ভারতে বারবার হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও ভারত তা সফলভাবে প্রতিহত করে।
এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই সাফল্যকেই উদযাপন করতে চাইছে বোর্ড। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে এই বিশেষ অনুষ্ঠান।
আইপিএল ফাইনালের উত্তেজনা এবং তার সঙ্গে দেশাত্মবোধের এই ছোঁয়া ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিশেষ উদ্যোগে আপনি কি বিসিসিআইকে সমর্থন করেন?