গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা? অফিস বা বাড়িতে এসি এখন যেন অক্সিজেনের মতোই অপরিহার্য। নতুন এসি হয়তো দিব্যি ঘর ঠান্ডা করছে, কিন্তু পুরনো এসি মাঝে মাঝে ঘর ঠান্ডা করতে হিমশিম খাচ্ছে? চিন্তা নেই! কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আপনার এসি ঘরকে দ্রুত ঠান্ডা করতে পারবে এবং বিদ্যুতের খরচও সাশ্রয় হবে।
ঘর ঠান্ডা করার কার্যকরী কৌশল:
তাপমাত্রা সেট করুন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে: গরমে এসি ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চালানো সবচেয়ে ভালো। এতে ঘর আরামদায়ক ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুতের বিলও কম আসবে। এর নিচে নামার অর্থ শুধু বিদ্যুতের অপচয়।
তাপমাত্রার স্থিতিশীলতা জরুরি: ঘরের তাপমাত্রা বারবার পরিবর্তন করবেন না। এতে এসির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
ফ্যানের সঙ্গে ব্যবহার করুন, ম্যাজিক দেখুন: এসি সবসময় ফ্যান বা পাখার সঙ্গে ব্যবহার করুন। ফ্যান এসির ঠান্ডা বাতাসকে ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, ফলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়। ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে এসিকে ফ্যান মোডে রাখুন। এটি বিদ্যুতের বিল কমাতে দারুণ কার্যকরী!
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ফ্যান মোড: এসির ফ্যান মোড অন রাখলে কম্প্রেসর বন্ধ থাকে, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দারুণ সহায়ক। ঘর একবার ঠান্ডা হয়ে গেলে এই মোড ব্যবহার করে আপনি অনেকটাই বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারবেন।
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন, নিঃশ্বাস নিন স্বস্তিতে: এসির এয়ার ফিল্টার প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তত দু’বার পরিষ্কার করা উচিত। ফিল্টারে ময়লা জমলে বাতাসের প্রবাহ কমে যায় এবং এসি ঘর ঠান্ডা করতে বেশি সময় নেয়। নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার রাখলে এসি দ্রুত ঠান্ডা করবে এবং এটি আপনার বিদ্যুৎ বিলও কমিয়ে দেবে।
ঘরকে ‘এয়ার-টাইট’ রাখুন: ঘর যেন পুরোপুরি এয়ার-টাইট থাকে অর্থাৎ কোনোভাবেই যেন ঘরের ভেতরের ঠান্ডা বাতাস বাইরে না যায় বা বাইরের গরম বাতাস ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। এর ফলে ঘর অত্যন্ত দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ঠান্ডা বজায় থাকে।
এই সহজ কৌশলগুলি মেনে চললে আপনার এসি আরও দক্ষতার সাথে কাজ করবে, ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে এবং বিদ্যুৎ বিলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গরমে আরাম পেতে আজই এই টিপসগুলো মেনে চলুন!