ফের ধর্ষণের ভয়াবহ অভিযোগ উঠল ওড়িশায়। এবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। শুক্রবার রাতে ওই তরুণীকে রক্তাক্ত এবং অর্ধচেতন অবস্থায় ভুবনেশ্বরের স্থানীয় ক্যাপিটাল হাসপাতাল চত্বরে পাওয়া যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নির্যাতিতা নিজেই কোনোমতে হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসার আবেদন জানান বলে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে চিকিৎসকদের মনে সন্দেহ জাগে। প্রাথমিকভাবে তারা মনে করেন, তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আঁচ করে দ্রুত মেডিক্যাল টিম বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে, শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ থাকায় নির্যাতিতা তরুণী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কথা বলতে পারেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা একটি ফরেনসিক মেডিকেল পরীক্ষা করবেন।
মানসিক সমস্যার অভিযোগ, তদন্তে সিসিটিভি
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) জানিয়েছেন, থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ১৬ই অক্টোবর সন্ধ্যায় ক্যাপিটাল হাসপাতালে একটি মেয়ের ভর্তি হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট পেয়েছি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে, একইসঙ্গে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ওই কিশোরী ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে এবং আরও তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযুক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে কাছাকাছি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় ওড়িশার নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।