হাড়কাঁপানো কামড়! ২০১৮-র রেকর্ড ভাঙছে শীত, বর্ষবরণে ১২ ডিগ্রিতে কাঁপবে বাংলা

শীতপ্রেমীদের জন্য ডবল ধামাকা! বড়দিনের পর এবার বর্ষবরণেও রেকর্ড ভাঙতে চলেছে পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮ সালের পর এটাই কলকাতার দ্বিতীয় শীতলতম বড়দিন। বড়দিনের রাতে কলকাতার তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলেও, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে— শীতের আসল খেলা এখনও বাকি। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যের জেলাগুলোতে আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার ও শনিবার শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। ফলে উইকেন্ডে তিলোত্তমায় জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনাতেও কনকনে ঠান্ডা বজায় থাকবে। ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি আরও তুষারশীতল। দার্জিলিঙে পারদ নেমেছে ৩ ডিগ্রিতে, আর টাইগার হিলে তা পৌঁছেছে শূন্যের কোঠায়। আলিপুরদুয়ার ও শ্রীনিকেতন কার্যত সমানে পাল্লা দিচ্ছে ৮-৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কোচবিহারের কিছু অংশে ‘কোল্ড ডে’ বা শীতলতম দিনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চলাচলের ওপর বিশেষ সতর্কতা দিয়েছে প্রশাসন।

বড়দিনের রাতে দমদম, সল্টলেক ও মগরাতেও তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল। তবে বাঁকুড়া ও সিউড়িতে পারদ ৯ ডিগ্রিতে নামতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডার আমেজ শুরু হয়েছে। আপাতত শনিবার পর্যন্ত শীতের এই ঝোড়ো ইনিংস বজায় থাকলেও, তারপর থেকে তাপমাত্রায় সামান্য হেরফের হতে পারে। সব মিলিয়ে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই ২০২৫-কে বিদায় জানাতে প্রস্তুত বাংলা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy