যারা গত বছর পুজোর অনুদানের টাকা খরচের হিসাব (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দেয়নি, এবার তারা আর সরকারি অনুদান পাবে না। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দেয়।
প্রতি বছর রাজ্য সরকার দুর্গাপূজার জন্য ক্লাবগুলিকে অনুদান দেয়। এই বছর অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই অনুদান নিয়েই একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। আদালত জানতে চায়, যে ক্লাবগুলি অনুদান নিচ্ছে, তারা সেই টাকার সঠিক হিসাব দিচ্ছে কি না।
সোমবারের শুনানিতে হাইকোর্ট কড়া ভাষায় বলেছিল, “যে সব পুজো কমিটি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি, তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিন।” পাশাপাশি, কতগুলি ক্লাব গত বছরের হিসাব দেয়নি, তা হলফনামা দিয়ে জানাতেও বলা হয় রাজ্য সরকারকে।
বুধবার রাজ্য সরকার আদালতে জানায় যে, মোট ৪১,৭৯৫টি ক্লাবের মধ্যে মাত্র তিনটি ক্লাব হিসাব জমা দেয়নি, এবং এই তিনটি ক্লাবই শিলিগুড়ির। রাজ্যের এই উত্তরে বিচারপতি সুজয় পাল মজা করে বলেন, “সংখ্যাটা এত কম যে মাইক্রোস্কোপ লাগবে।”
আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, যে ক্লাবগুলো এখনো হিসাব জমা দেয়নি, তারা আগামী এক মাসের মধ্যে যদি হিসাব জমা দিতে পারে, তাহলেই কেবল অনুদান পাবে। ডিভিশন বেঞ্চ আরও মন্তব্য করে যে, “সরকারি টাকা এভাবে খরচ করা যায় না।”
তবে, এই বছর নতুন করে যে ক্লাবগুলি অনুদানের তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের এই নিয়মের বাইরে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র গত বছর যারা অনুদান পেয়েছিল, তাদেরকেই হিসাব দিতে হবে। একই সঙ্গে আদালত পুজোর ছুটির এক মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছে।